সোমবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকার গুলশানে হোটেল লেকশোরে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত এক কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ে এ দাবি জানান তারা।
২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত রুমা বলেন, স্প্লিন্টার আঘাতের ভয়ঙ্কর যন্ত্রণা নিয়ে ১৪ বছর বেঁচে আছি।
আরেক আহত সেলিম বললেন, মৃত্যুর আগে তারেক রহমানসহ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িত সবার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর দেখে যেতে চাই, এটাই শেষ ইচ্ছা।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, চীনসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও বিভিন্ন সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহতদের মুখে সেই হৃদয় বিদারক ঘটনার বর্ণনা শোনেন উপস্থিত কূটনীতিকরা।
সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমির।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য লেফটেনেন্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. দীপু মণি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মি আহমেদ।
২১ আগস্টের স্মৃতি তুলে ধরে ফারুক খান বলেন, তৎকালীন বিএনপি জামায়াত সরকার তদন্তকে ব্যাহত করতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, রায় নিয়ে খুশি হলেও পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেননি মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমানের ফাঁসির আদেশ না হওয়ায়।
২১ আগস্ট হামলা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের শাস্তি নিশ্চিত করতে তাদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে কুটনীতিকদের সহায়তা কামনা করেন শাম্মি আহমেদ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপকমিটির সদস্য ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদ।
গত ১০ অক্টোবর একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে আদালত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৮
এমইউএম/এসএইচ