উত্তর থেকে আসছে শিরশিরে বাতাস। সকাল-সন্ধ্যে ঘাসের ওপর মুক্তোর মতো দেখা যাচ্ছে শিশিরের কণা।
কার্তিকের প্রথম দিনে মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) ভোরে খুলনার প্রকৃতিতে কুয়াশার ছড়াছড়ির দেখা মিললো।
ষড়ঋতুর দেশে হেমন্ত মানেই চুপিচুপি শীতের আগমন। গাছের ঝরা পাতা, শিশির ভেজা ঘাস কিংবা ঘন কুয়াশায় চাদরে ঢাকা প্রকৃতি। সব মিলিয়ে শীতের পরশ একটু একটু করে লাগতে থাকে গায়ে। আর একসময় তা রূপ নেয় কনকনে ঠাণ্ডায়।
নানা আচার, উপহার আর বিড়ম্বনাকে সঙ্গে নিয়ে খুলনাঞ্চলে চুপি চুপি আসছে শীত। ঘূর্ণিঝড় তিতলির প্রভাবে বৃষ্টিপাত হওয়ার পর গত কয়েকদিন ধরে প্রকৃতিতে শীতের আবহ তৈরি হয়েছে। এরইমধ্যে হালকা শীতও পড়তে শুরু করেছে। সন্ধ্যার পর থেকেই বইছে ঠাণ্ডা হাওয়া। ভর দুপুরেও যেন হারিয়ে যেতে শুরু করেছে তাবদাহ। দিনের বেলা রোদ থাকলেও রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাঝারি কুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাসে শীতের পরশ অনুভূত হতে শুরু করেছে। ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ।
দরজায় শীত কড়া নাড়ায় খুলনার অনেকেই আট থেকে নয় মাস বস্তাবন্দি হয়ে থাকা লেপ-কম্বল রোদে দিয়ে শীতে ব্যবহারের জন্য তৈরি করছেন। শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে খুলনার বিভিন্ন অঞ্চলে আসতে শুরু করেছে অতিথি পাখি।
খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, কার্তিকের শুরুতেই হালকা কুয়াশার চাদরে ছেয়ে যেতে শুরু করেছে প্রকৃতি। ভোরের শিশির ভেজা ঘাস ও কাঁচা-পাকা ধানের শীষে মুক্তোদানা শীতের আগমণের জানান দিচ্ছে। তবে নভেম্বরে পুরোপুরি শীত আসবে।
খুলনার দিগন্তজোড়া মাঠের সবুজ প্রকৃতি এখন সবুজ আর হালকা হলুদ রঙে সেজেছে। শীতের স্বর্গীয় সৌন্দর্য ফুটে উঠছে মাঠে মাঠে। নগরজীবনে কার্তিকের চিরায়ত রূপের দেখা না মিললেও গ্রামে তা সৌন্দর্যের ডালি মেলে ধরেছে।
গ্রামও শহরের হাট-বাজারগুলোতে উঠতে শুরু করেছে শীতের সবজি ফুলকপি, বাঁধাকপি, মূলা, শালগম, ওলকপি, গাজর, টমেটো।
যদিও শহরের যান্ত্রিকতার করাল গ্রাসে গিলে নিয়েছে সেই সকালের খেজুরের রস আর পিঠপুলির উৎসব, তবুও প্রকৃতির আবর্তে এক নতুন সুরব্যাঞ্জনা নিয়ে আবারও চুপিচুপি আসছে শীত।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৮
এমআরএম/জেডএস