মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) সকাল সোয়া ১০টা পর্যন্ত পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট পারের অপেক্ষায় পাঁচ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক অপেক্ষমাণ রয়েছে বলে জানান ফেরিঘাট সংশ্লিষ্টরা।
যাত্রীবাহী বাস, জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নৌরুট পারাপারের কারণে সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারে ভোগান্তি বাড়ছে।
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট শাখা বাণিজ্য বিভাগের ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ভোরের দিকে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় কুয়াশা পড়ায় ফেরি চলাচলে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটে। এছাড়া ফেরির তুলনায় যানবাহনের চাপও বেশি। যে কারণে ঘাট এলাকায় ভোগান্তি বাড়ছে।
সবশেষ দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক ও অর্ধশতাধিক যাত্রীবাহী বাস নৌরুট পারের অপেক্ষায় রয়েছে। নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ছোট বড় মিলে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। যাত্রীবাহী বাসের চাপ কমে গেলে সিরিয়াল অনুযায়ী পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করা হবে বলে জানান শফিকুল ইসলাম।
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাট শাখা বাণিজ্য বিভাগের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার জিল্লুর রহমান জানান, ভোর ৫টার দিকে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় কুয়াশা পড়তে শুরু করে। এতে করে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা ফেরি চলাচল ব্যাহত হয়। যে কারণে ঘাট এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ লাইন জমে যায়।
সবশেষ পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক নৌরুট পারের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়াও মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে আরও কিছু ট্রাক আটকা রয়েছে। যাত্রীবাহী বাসের লাইনে প্রায় ৭০ থেকে ৮০টি বাস ঘাট পারের অপেক্ষায় রয়েছে। যাত্রীবাহী বাসের চাপ কমে গেলে সিরিয়াল অনুযায়ী পণ্যবাহী ট্রাকগুলো নৌরুট পারাপার করা হবে। তবে ছোট গাড়ির চাপ কম থাকার কারণে সেগুলো সরাসরি নৌরুট পারের সুযোগ পাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৮
কেএসএইচ/জেডএস