সেই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে কিশোরগঞ্জের তৃতীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আবু তাহের সব আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন-করিমগঞ্জ উপজেলার চর দেহুন্দা গ্রামের আলামিন, মিজানুর রহমান, নাজমুল ও স্বপন মিয়া।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন-চর দেহুন্দা গ্রামের দিদার, গিয়াস উদ্দিন সরকার, হাবিবুর রহমান হবি, দুলাল, ইসরাইল, জসিম উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, ইসলাম উদ্দিন, সাহাবুদ্দিন, আশরাফ উদ্দিন, কাঞ্চন মিয়া, আলম, সেলিম, লোকমান, কাঞ্চন, হারুন, সোহেল, আজাদ, রুকন, রতন ও শামীম।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, করিমগঞ্জ উপজেলার লাখপুর গ্রামের নূরুল্লাহর একটি মোবাইল ফোন চুরি হওয়াকে কেন্দ্র করে ২০১২ সালের ২৪ আগস্ট তার পক্ষের লোকজনের সঙ্গে পাশের চর দেহুন্দা গ্রামের আল আমীন ও তার লোকজনের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে গুরুতর আহত কুবেদ মিয়া ও তার ভাতিজা জাকারুল ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় কুবেদ মিয়ার স্ত্রী সুজাতা আক্তার বাদী হয়ে করিমগঞ্জ থানায় ২৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শেষে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলার শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে আদালত এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হক ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. আব্দুস সালাম। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন ফারুকী ও মহিউদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৮
এসআই