মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে নগরের অশ্বিনী কুমার হলে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ও মৃৎশিল্পী সম্মেলন ও সম্মাননার আয়োজনে এই সম্মাননার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে শিল্পী বলহরি সাহা স্মৃতি আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন রাজশাহীর শিল্পী সুশান্ত কুমার পাল (৬৫) এবং শিল্পী চিত্ত হালদার আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন বাউফলের শিল্পী গোবিন্দ পাল (৪০)।
অনুষ্ঠানে মৃৎশিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য গৈলা উপজেলার বুড়ি রানী পাল, জুথি রানী পাল ও সবিতা রানী পাল, টাঙ্গাইলের শোভারানী পাল, কলসকাঠীর রূপক চন্দ্র পাল, ফরিদপুরের ভাঙ্গার নিতাই পাল, নঁওগার বিশ্বনাথ পাল, বানারীপাড়ার সৃমন্ত পাল ও সবিতা রানী পালকেও সম্মাননা দেওয়া হয়। এদের প্রত্যেককে সম্মাননা ক্রেস্ট, উত্তরীয়, সনদপত্র এবং নগদ ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
চারুকলা বরিশালের সভাপতি আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে মৃৎশিল্পী সম্মেলন ও সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার রাম চন্দ্র দাস।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ডিন শিল্পী নিসার হোসেন, কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক বুলবন ওসমান, দৈনিক সমকালের উপ-সম্পাদক অজয় দাশগুপ্ত, শব্দাবলী গ্রুপ থিয়েটারের সভাপতি সৈয়দ দুলাল, বরিশাল সাংষ্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি কাজল ঘোষ, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা.ভাস্কর সাহা, শিল্পী বিশ্বেশ্বর পাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃৎশিল্প বিভাগের সহকারী অধ্যাপক চিন্ময়ী সিকদার জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি রাখাল চন্দ্র দে প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মৃৎশিল্প আমাদের ঐতিহ্য। মৃৎশিল্পকে রক্ষা করতে হলে আগে শিল্পীকে রক্ষা করতে হবে। পরিবেশ সম্মত এই ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে হলে প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগের প্রয়োজন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বরিশাল, রাজশাহী, বাউফল, টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায়দেড় শতাধিক মৃৎশিল্পী অংশগ্রহণ করে। অংশগ্রহণকারী সবাইকে অর্থ, বস্ত্রসহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দেওয়া হয়।
এদিকে ১৫ ও ১৬ অক্টোবর মৃৎশিল্পী সম্মেলন ও সম্মাননা প্রদান উপলক্ষে অশ্বিনী কুমার হলেই পাললিক শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও দু’দিনের মেলা আয়োজন করার হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৮
এমএস/এএটি