ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রাস্তার পাশে ঝুঁকিপূর্ণ তার, অপসারণে নামছে ডেসকো

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৮
রাস্তার পাশে ঝুঁকিপূর্ণ তার, অপসারণে নামছে ডেসকো ঢাকা শহরের ঝুঁকিপূর্ণ তার/ফাইল ফটো

ঢাকা: রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়ক ও অলিগলিতে বৈদ্যুতিক খুঁটি কিংবা বাসা-বাড়ির কোণায় ঝুলানো ইন্টারনেট এবং ক্যাবল টিভির তার বা ক্যাবল থেকে অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা। পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে শহরের শ্রীও।

ঝুঁকিপূর্ণ এসব ক্যাবল অপসারণে নামছে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো)। অপসারণের আগে নোটিশ দিয়ে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ক্যাবলগুলো সরাতে বলা হয়েছে ডেসকোর পক্ষ থেকে।


 
সম্প্রতি ডেসকোর রূপনগর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম শাহ সুলতান স্বাক্ষরিত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্টদের।
 
ক্যাবল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এবং ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের কাছে পাঠানো চিঠিতে ডেসকোর অপসারণের আগে তারগুলো সরাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
 
চিঠিতে বলা হয়, মিরপুর-১২ নম্বর থেকে মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বর পর্যন্ত রাস্তার পশ্চিম পাশে এবং মিরপুর-১ নম্বরের পাশে সনি সিনেমা হল থেকে মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বর পর্যন্ত রাস্তার উত্তর পাশে ইন্টারনেট এবং ক্যাবল টিভির ঝুঁকিপূর্ণ তার রয়েছে।
 
মিরপুর-১২ নম্বর থেকে মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বর পর্যন্ত ২০ অক্টোবর, সনি সিনেমা হল থেকে চিড়িয়াখানা পর্যন্ত ১ ডিসেম্বর এবং সনি সিনেমা হল থেকে মিরপুর-১০ নম্বর পর্যন্ত ২২ ডিসেম্বর ঝূঁকিপূর্ণ তারগুলো অপসারণের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে।
 
চিঠিতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে সহযোগিতা চেয়েছে ডেসকো।
 
অন্যদিকে, স্বল্প সময়ের নোটিশে তারগুলো অপসারণে ইন্টারনেট ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়ছে বলে অভিযোগ করেছে। ক্যাবল অপসারণের ক্ষেত্রে বিটিআরসির কাছে চার দফা প্রস্তাব জানিয়েছে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের প্রতিষ্ঠান আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।
 
প্রস্তাবগুলো হলো- বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের টেকনিক্যাল কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ওভারহেড ক্যাবল ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করতে হবে। কমিটির সংশ্লিষ্টতা ছাড়া কোনো ক্যাবল কাটা হলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ইন্টারনেট ও ডাটা সংযোগ বন্ধ থাকবে এবং এর দায়দায়িত্ব ডেসকো ও ডিপিডিসিকে নিতে হবে।
 
বেসরকারি দুই এনটিটিএন প্রতিষ্ঠান টেলিযোগাযোগ খাতের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে দাবি করে দ্বিতীয় প্রস্তাবে বলা হয়, অবিলম্বে ন্যূনতম তিনটি অপারেটরকে এই লাইসেন্স দিতে হবে।
 
ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ সব বিভাগ এবং জেলা শহরে এনটিটিএনদের এলডিপির সংখ্যা বাড়াতে হবে।
 
এনটিটিএনের কোর প্রতি মূল্য ক্রমান্বয়ে বেড়ে মিটারপ্রতি ২ টাকা থেকে ৭ টাকা হারে পৌঁছেছে উল্লেখ করে চতুর্থ প্রস্তাবে বলা হয়, ইন্টারনেটর মূল্য কয়েক ধাপে কমলেও এনটিটিএনের মূল্য প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। এই উচ্চমূল্য কমাতে হবে এবং সারা দেশে এক দামে সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৮
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।