মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান পূর্ণিমা। তার শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া কর্তব্যরত চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
এর আগে রোববার (১৪ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে পূর্ণিমার মা সুফিয়া বেগম (৫০) ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
উত্তরখানের ব্যাপারীপাড়ার হেলাল মার্কেট এলাকার একটি বাসায় গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে সৃষ্ট আগুনে দগ্ধ হয়ে এ পর্যন্ত চারজন মারা গেলেন। বেশ কয়েকজন ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শনিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুফিয়ার ভাতিজা আজিজুল ইসলাম (২৭) মারা যান। সন্ধ্যায় মারা যান তার স্ত্রী মুসলিমা (২০)।
চিকিৎসাধীন দগ্ধরা হলেন- পূর্ণিমার ছেলে সাগর (১২), সুফিয়ার ভাতিজি ও আজিজুলের বোন আঞ্জু আরা (২৫) ও তার স্বামী ডাবলু মোল্লা (৩৩), তাদের ছেলে আব্দুল্লাহ সৌরভ (৫)।
শনিবার ভোরে ব্যাপারীপাড়ার ১১০/এ-১ নম্বর হোল্ডিংয়ের তিনতলা বাড়ির নিচ তলায় ওই অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের নারী ও শিশুসহ আটজন দগ্ধ হন।
এ ঘটনায় নিহত প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা ও আহত দগ্ধদের ১০ হাজার টাকা করে দিয়েছেন ঢাকা জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৮
এজেডএস/এমইউএম/আরআর