এদিকে পূজার ছুুটিতে বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (১৭ অক্টাবর) বেনাপোল বন্দরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারী ছিল চোখে পরার মতো।
জানা যায়, দেশের অর্থনীতিতে বেনাপোল বন্দরের ভূমিকা অপরিসীম। দেশের সর্ব বৃহত্তম আর এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল। প্রতিবেশি দেশ ভারতের সঙ্গে স্থলপথে যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশ
সম্পাদন হয় এ বন্দরে। আমদানিকরা পণ্যের মধ্যে উল্লেখ্য যোগ্য হলো শিল্প-কারখানার বিভিন্ন কাঁচামাল, মেশিনারী সামগ্রী, সুতা, কাপড় ও খাদ্য দ্রব্য। রফতানি পণ্যের মধ্যে অন্যতম কাঁচাপাট ও পাট জাত দ্রব্য।
ব্যবসায়ীরা জানান, এ বন্দরটিতে সবসময় প্রায় দেড় লাখ মেট্রিক টন আমদানি পণ্য মজুদ থাকে। যার বাজার মূল্য কয়েক হাজার কোটি টাকা। পূজার ছুটিতে সাধারণত নাশকতা বা দুর্ঘটনামূলক কর্মকাণ্ড বন্দরে বেশি ঘটে। এজন্য নজরদারী বেশি দরকার।
এদিকে টানা ছুটির ফাঁদে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে পণ্যজট আরও বাড়বে বলে মনে করছে বন্দর সংশ্লিষ্টরা।
বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বাংলানিউজকে বলেন, পেট্রাপোল বন্দরের ট্রাক টার্মিনাল, পেট্রাপোল পার্কিং ও বনগাঁও টার্মিনালে কয়েক হাজার পণ্য বোঝাই ট্রাক বেনাপোলে বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। ছুটি শেষে এসব পণ্য বন্দরে ঢুকবে। এতে বন্দর এলাকায় তীব্র যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। কাঁচামাল নিয়েও চিন্তিত ব্যবসায়ীরা।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফজলুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ছুটিতে বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও এ পথে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বেনাপোল বন্দর মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) থেকে শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) চার দিন বাণিজ্য বন্ধ থাকছে। টানা ছুটিতে যাতে বন্দরে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য সব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অন্যান্য সময়ের চাইতে বেশি নজরদারী রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আগামী শনিবার (২০ অক্টোবর) সকাল থেকে পুনরায় বাণিজ্য সচল হবে বলেও জানান পরিচালক আমিনুল।
বেনাপাল বন্দরের নিরাপত্তা সংস্থা আনসার ব্যাটালিয়নের কমান্ডার বদিউজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, এ বন্দরে দেশের কয়েকশ আমদানি কারকদের কোটি কোটি টাকার পণ্য রয়েছে। পূজার টানা ছুটিতে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ। এ সময়ে যাতে কেউ বন্দরে প্রবেশ করে পণ্যের ক্ষতি করতে বা কোনো নাশকতামূলক ঘটনা না ঘটাতে পারে এজন্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশে অন্যান্য সময়ের চেয়ে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
বন্দরের নিরাপত্তায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নসহ (এপিবিএন) অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা সজাগ রয়েছে বলেও জানান কমান্ডার বদিউজ্জামান।
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৮
এজেডএইচ/আরআইএস/