মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা।
এ সময় জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহায়তায় সনাতন ধর্মাবলম্বী রোহিঙ্গা পরিবারের জন্য মানবিক দিক বিবেচনা করে আমরা দুর্গোৎসবের আয়োজন করেছি। পূজা উপলক্ষে তাদের জন্য বিশেষ খাবার এবং নতুন কাপড়ের ব্যবস্থা করেছি।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, উখিয়ায় বিভিন্নস্থানে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হলেও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ পূজামণ্ডপে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এ পূজা সফলভাবে সম্পন্ন করতে জেলা প্রশাসন থেকে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখানে সনাতন ধর্মাবলম্বী ১০১টি রোহিঙ্গা পরিবারের জন্য পূজামণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয়রাও পূজা উৎযাপন করেছে বলেও জানান ইউএনও নিকারুজ্জামান।
কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা জানান, এ বছর জেলায় মোট ৩০১টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পূজামণ্ডপটি একেবারে নতুন। সনাতন ধর্মাবলম্বী রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয়রা পূজামণ্ডপটিতে আনন্দ উল্লাস করেছে। পূজামণ্ডপটি ঘিড়ে প্রশাসনের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান সম্পাদক বাবুল শর্মা।
ক্যাম্পের দুর্গাপূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুমন্ত রুদ্র জানান, গত বছর আমরা যখন পালিয়ে এসেছি। এর কিছুদিন পরেই এদেশে দুর্গোৎসব হয়েছে কিন্তু তখন আমরা খুব খারাপ অবস্থায় ছিলাম। এ বছর পরিস্থিতি অনেকটা বদলেছে। আমাদের এ অবস্থার জন্য জেলা প্রশাসন এবং সরকারের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৮
আরআইএস/