ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘শিশুর জন্মনিবন্ধনই বাল্যবিয়ে রুখে দেবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৮
‘শিশুর জন্মনিবন্ধনই বাল্যবিয়ে রুখে দেবে’ অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, ছবি: বাংলানিউজ

গাজীপুর: মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, শিশুদের জন্মনিবন্ধন খুবই প্রয়োজন। এটা করা থাকলে সুবিধা হলো ১৮ বছরের নিচে বিয়ে দেওয়া বন্ধ হয়ে যাবে সারাদেশে। কোনোভাবেই মেয়েদের বিয়ে দিতে পারবে না কেউ।

বুধবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে গাজীপুর সদর উপজেলার বলদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ‘শিশু ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক যোগাযোগ কার্যক্রম’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে শিশু মেলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

চুমকি বলেন, ১৮ বছরের আগে বিয়ে হলে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়।

বাচ্চা লালন-পালন কিভাবে করে, সেটা জানার আগেই মা হয়ে যায় একটি মেয়ে। এছাড়া প্রথমে ভালবাসা দেখিয়ে বিয়ে করে নিয়ে যায় পরে সংসারে সৃষ্টি হয় নানা অশান্তি। নারীদের ওপর যে নির্যাতন হয়, সেটা বাল্যবিয়ের কারণেই বেশি। বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনে ১৮ বছরের নিচে কোনো মেয়ে বা ছেলে যদি নিজের ইচ্ছায়ও বিয়ে করে তাহলে তাদের জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে। সঙ্গে আইন অমান্যকারী প্রত্যেকেরই শাস্তি পেতে হবে। আমরা শিশুর পুষ্টির জন্য ব্যবস্থা করে যাচ্ছি। আমরা মায়েদের প্রতিও দৃষ্টি রাখছি। যাতে করে মায়েরা সুস্থ থাকতে এবং সুস্থ শিশু জন্ম দিতে পারেন।

তিনি বলেন, একটা সময় ছিল শিশুরা ড্রেস পড়ে স্কুলে যেতো না, পায়ে জুতা ছিল না। বাংলাদেশ এখন উন্নত হয়ে গেছে। এখন স্কুল ড্রেস ছাড়া কোনো স্কুল আছে বলে মনে হয় না। এখন আমাদের শিশুরা ড্রেস, পায়ে জুতা ও ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যায়। এই যে পরিবর্তন বংলাদেশের, এই পরিবর্তনটা ধরে রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ১০ জন গৃহহীনকে তাদের গৃহের চাবি হস্তান্তর করেন প্রতিমন্ত্রী। এ প্রকল্পের আরও ১৩০ জনকে আগামী এক মাসের মধ্যে তাদের গৃহের চাবি দেওয়া হবে বলে জানান চুমকি।

গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেবেকা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফাজ্জল হোসাইন, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন, জেলা তথ্য অফিসার রাহাত হাসনাত, বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান শুকুর, জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, ভাওয়াল বাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল্লাহ মোড়ল, বলদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহানা সুলতানা, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিম আক্তার, আফরিন আক্তার প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, ১৭ অক্টোবর, ২০১৮
আরএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।