তিনি বলেন, একটা সময় ছিলো কাজী নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, মীর মোশাররফ হোসেনেকে অশিক্ষিত কাঠ মোল্লারা নির্বাসনে পাঠাতে চেয়েছিল। আর লালনের অসাম্প্রাদয়িক সমাজ ব্যবস্থা গড়ার ক্ষেত্রে বাধা দিয়েছিলো।
বুধবার (১৭ অক্টোবর) রাত ছেঁউড়িয়ার আখড়া বাড়িতে বাউল সম্রাট ফকির লালনের ১২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ৩ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা করেন।
আমাদের স্লোগান হোক ‘করতে ধ্বংস জঙ্গি, লালন সাঁই আমার সঙ্গী’ উল্লেখ্য করে মন্ত্রী বলেন, আজকে জঙ্গিবাদ ধর্মান্ধদের বিরুদ্ধে লড়াইকে বেগবান করে হবে। যাতে আগামীতে এরা মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে। রাজাকার আলবদররা হচ্ছে পশু, তারা মানুষ নয়। এখনও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। আগামী নির্বাচনে তাদের গতিবিধিকে রুদ্ধ করে দিতে হবে।
লালন একাডেমির আয়োজিত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আসলাম হোসেন।
অনুষ্ঠানে অন্যন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালি) আসনের এমপি আব্দুর রউফ, পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম তানভির আরাফাত, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আবদুর রশীদ চৌধুরী, জেলা জাসদ সভাপতি গোলাম মহসীন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৮
এমএফআই/এসআরএস