বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) ভোরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এর আগে বুধবার (১৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় বাবার মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেন স্বপন।
জানা যায়, স্বপনের স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। তিনি কোনো রোজগার করতেন না। এ নিয়ে প্রায়ই স্ত্রীর সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হতো। বুধবার সকালে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে স্বপন তার স্ত্রীকে বলেন ‘আজ তোকে খুন করবো’। ভয়ে বিকেলে তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান।
রাতে বাসায় ফিরে স্ত্রী-সন্তানদের না দেখে বাবার কাছে সে বিষয়ে জানতে চান স্বপন। এ নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে বাবা ঘুমিয়ে পড়েন। একপর্যায়ে রাত ৩টার দিকে স্বপন হাতুড়ি দিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় তার বাবার মাথায় কয়েকটি আঘাত করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। একই ঘটনায় তিনি তার বড় ভাইয়ের মেয়ে লিমাকেও আঘাত করেন।
তাদের উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সাইদ মিয়ার মৃত্যু হয়।
এদিকে, স্বপনের বড় ভাই রিপন বলেন, লিমার অবস্থা আশঙ্কাজনক ময়মনসিংহ মেডিকেলের চিকিৎসক তাকে ঢাকা নিয়ে যেতে বলেছেন, আমরা তাকে ঢাকা নিয়ে যাচ্ছি।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তওহিদুর রহমান বলেন, স্বপনকে আটক করা হয়েছে। তার বাবার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৮
আরএ