শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে তাকে লৌহজং থানায় সোপর্দ করা হয়। সোহেল রানার সঙ্গে থাকা দুই সহযোগী মো. মোহন (২৪) ও লিটন শেখকেও (২২) থানায় আটকে রাখা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে এএসআই সোহেল রানার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন শ্রীনগর ও লৌহজং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মাকসুদা লিমা।
বাংলানিউজকে তিনি জানান, অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। সোহেল রানা জেলেদের কাছ থেকে মা ইলিশ ছিনতাই ও টাকা আদায় করার সময় স্থানীয় লোকজন ও জেলেরা তাকে আটক করে পুলিশে দেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগকারীরা থানায় লিখিত অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলি জানান, সোহেল রানার বিরুদ্ধে মামলা হবে। তিনি এর আগেও এখানে এসে মাছ ও টাকা নিয়ে গেছেন। পরে জেলেরা খোঁজ নিয়ে জেনেছেন যে তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলার পুলিশ না।
মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানান, অভিযোগ পেয়েছি, যাচাই বাছাই চলছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগকারীরা জানান, সোহেল রানা ঢাকা থেকে এখানে এসে অভিযানের কথা বলে এর আগেও মা ইলিশ নিয়ে গেছেন। এছাড়া ইলিশ দিতে রাজি না হলে অনেক সময় টাকা দাবি করেন তিনি। পরে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, তিনি ঢাকায় কর্মরত।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৮
এসআই