শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) বিকেল থেকে ফুলতলার ভৈরব নদ, জেলখানা ঘাট, চরেরহাট, দৌলতপুর ও রেলীগেট ঘাটে বিসর্জন অনুষ্ঠিত হয়।
ফুলতলা, দামোদর ও জামিরা ইউনিয়নের সকল মন্দিরের প্রতিমা বিকেলে ফুলতলার সিকিরহাট ঘাটে বিসর্জন করা হয়।
দেবী বিসর্জনে সবচেয়ে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে, মহানগরীর দোলখোলা, শীতলাবাড়ী, শান্তিধামের মোড়, টুটপাড়া গাছতলা, ঊমা শিবমন্দির, কয়লাঘাট, রূপসা মহাশ্মশান কালি, বাগমারা, তালতলা, শিববাড়ী ও ছোট বয়রা মণ্ডপে।
বিসর্জনের আগে নারীরা দেবী দুর্গার সিঁথিতে সিঁদুর পরান এবং মিষ্টি মুখ করান। পরে মন্দিরে আগত নারীরা একে অপরের সিঁথিতে সিঁদুর বিনিময় করেন। এরপর বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ থেকে ট্রাকে করে দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রায় যোগ দেন পুণ্যার্থীরা। ভৈরব নদের ঘাটে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শোভাযাত্রা শেষ হয়।
পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, খুলনা জেলা ও মহানগরীতে এবার ৯৭৩টি মণ্ডপে শারদীয়া দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে মহানগরীতে ১২৩টি, খুলনা সদর থানায় ২৩টি, সোনাডাঙ্গা থানায় ১২টি, খালিশপুরে ১০টি, দৌলতপুর থানায় ২১টি, খানজাহান আলী থানায় ১০টি, হরিণটানায় ৫টি, লবণচরায় ৯টি ও আড়ংঘাটা থানায় ৩৩টি মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়। এছাড়া জেলার ৯ উপজেলায় ৮৫০টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিটি থানায় প্রতিমা বিসর্জনের নির্ধারিত স্থান রয়েছে। রাত ৮টার মধ্যে বিসর্জনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঘাট সমূহে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৮
এমআরএম/এএইচ