এদিন জুম্মার নামাজের পর বিকেল থেকে মহানগরী ঘেঁষা পদ্মানদীতে চলছে প্রতিমা বিসর্জন। এর মধ্যে দিয়েই ভাঙছে পাঁচ দিনব্যাপী সার্বজনীন দুর্গোৎসবের এই মিলনমেলা।
দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা মর্ত্যলোক ছেড়ে স্বর্গশিখর কৈলাশে স্বামীগৃহে ফিরে যাবেন। তবে দেবী দুর্গা চলে গেলেও পেছনে ফেলে যাবেন ভক্তদের শ্রদ্ধা। আর ভক্তদের কাছে রেখে যাবেন আগামী বছর ফিরে আসার অঙ্গীকার।
তাই আবারও মর্ত্যলোক ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশায় ভক্তরা চোখের জলে মাকে বিদায় জানাচ্ছেন। ফলে বিদায়ের মধ্যেও দেখা দিয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ। বিকেল থেকে মহানগরীর মুন্নজান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের পদ্মায় প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হচ্ছে।
বিশুদ্ধ পঞ্জিকামতে, জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার ঘোড়ায় চড়ে মর্ত্যলোকে (পৃথিবী) এসেছিলেন, যার ফল হচ্ছে ফসল ও শস্যহানি। আর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ফিরবেন দোলায় (পালকি) চড়ে, যার ফল হচ্ছে মড়ক।
অর্থাৎ পৃথিবীতে রোগশোক, মহামারীর আশঙ্কা বাড়বে।
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি অনিল কুমার সরকার বাংলানিউজকে জানান, রাজশাহীতে এবার মোট ৪৪৯টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিকেল থেকেই প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়েছে। পূর্ব নির্দেশনা অনুযায়ী রাতের মধ্যেই তা শেষ করার কথা রয়েছে। এজন্য মহানগরীর মুন্নুজান, পঞ্চবটি, আলুপট্টি, ফুদকিপাড়া ও বড়কুঠি ঘাটে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
এদিকে, নির্বিঘ্নে প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান শেষ করতে বর্তমানে কুমাড়পাড়া, আলুপট্টি, সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ ও র্যাব।
মহানগরীর বিভিন্ন এলাকার পূজা মণ্ডপ থেকে ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে করে প্রতিমা নিয়ে এসে পদ্মা নদীতে বিসর্জন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৮
এসএস/আরআর