হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের ঘরে ঘরে মাকে বিদায় জানাতে ঢাক-কাঁসরের বাদ্য-বাজনা, রাত্রি উজ্জ্বল করা আরতি ও পূজারী-ভক্তদের পূজা-অর্চনায় কেবলই মা দুর্গার বিদায়ের আয়োজন।
সিলেটের সুরমা নদীতে শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) বিকেল থেকে শুরু হয় দেবী বিসর্জন।
বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) ছিল দুর্গোৎসবের মহানবমী তিথি, ওইদিন ষোড়শ উপচারে দেবীর বন্দনা ও মহাস্থান-যজ্ঞ, সন্ধ্যায় আরতি বন্দনায় ‘আনন্দময়ী’র অর্চনা করেন তারা। মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
হিন্দু সম্প্রাদায়ের মতে, কৈলাশ থেকে ঘুটকে (ঘোড়ায়) চড়ে দেবী মর্ত্যলোক আসেন। আজ মর্তলোক ছেড়ে সওয়ারে (পাকলী) চড়ে বিদায় নেন দুর্গাদেবী। অশ্রুসজল চোখে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন বিসর্জনদেন মা দুর্গার প্রতিমা। এর মাধ্যমে পাঁচদিনের সার্বজনীন মিলনমেলা সাঙ্গ হলো আজ।
বিসর্জন শেষে ভক্তরা দেবীর আরাধনায় শান্তিজল গ্রহণ করবেন। সিলেট নগরী ও জেলায় এবার ৫৯৮ মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৮
এনইউ/এএটি