ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৩ কর্মকর্তা দিয়ে চলছে মুন্সিগঞ্জের পরিসংখ্যান কার্যালয়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৮
৩ কর্মকর্তা দিয়ে চলছে মুন্সিগঞ্জের পরিসংখ্যান কার্যালয় জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়। ছবি: বাংলানিউজ

মুন্সিগঞ্জ: জনবল সংকটে ভুগছে মুন্সিগঞ্জ জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়। প্রায় এক বছর যাবত ১৩ জন কর্মকর্তার কাজ করছেন তিনজন। এর ফলে এখানে সেবা নিতে এসে চরম ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে গ্রাহকরা।

বর্তমানে কার্যালয়টিতে একজন উচ্চমান সহকারী, ডাটা এন্ট্রি কন্ট্রোল অপারেটর, পরিসংখ্যান সহকারী নিয়োজিত রয়েছেন। উপ-পরিচালক পদে আব্দুল আলীম ভূঁইয়া কর্মরত থাকলেও তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার উপ-পরিচালক পদে ফুল টাইম দায়িত্ব পালন করছেন।

অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলায় কর্মরত রয়েছেন।  

আব্দুল আলীম ভূঁইয়া বাংলানিউজকে জানান, বিশেষ ক্ষেত্রে মুন্সিগঞ্জ অফিসে আসা হয়ে থাকে। এছাড়া ফুল টাইম নারায়ণগঞ্জে দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে। এক মাসের বেশি সময় ধরে মুন্সিগঞ্জ পরিসংখ্যান অফিসে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে আসছি।

তবে তিনি দাবি করে বলেন, যেহেতু দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে, তাই পদ শূন্য বলা যাবে না।  

জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রথম দিকে উপজেলা পরিসংখ্যান কার্যালয় থাকলেও পরবর্তীতে জেলা কার্যালয়ে রুপান্তর হয়। ২০১৩ সালের জুলাই থেকে এ কার্যালয়ে জেলার কার্যক্রম শুরু হয়। কার্যক্রম শুরুর প্রথম থেকেই অফিসটি জনবল সংকটের কবলে পড়ে।  

বর্তমানে কার্যালয়টিতে উপ-পরিচালক, উচ্চমান সহকারী, সহকারী পরিসংখ্যান কর্মকর্তা একটি, পরিসংখ্যান সহকারীর চারটি, ডাটা এন্ট্রি কন্ট্রোল অপারেটরের দুইটি, কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিকের একটি, এমএলএসের একটি, নৈশপ্রহরীর একটি ও গাড়ি চালকের একটি পদ নিয়ে মোট ১৩টি পদ বিদ্যামান। তবে পদ থাকলেও গাড়ি এখনো বরাদ্দ হয়নি। এছাড়া ডাটা এন্ট্রি কন্ট্রোলার অপারেটর পদে মো. কামরুল ইসলাম, পরিসংখ্যান সহকারী পদে জহিরুল ইসলাম কর্মরত রয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে তারা একাধিকবার পদ শূন্যের বিষয়টি জনালেও এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

সরেজমিনে শহরের জুবলী সড়কে অবস্থিত পরিসংখ্যান কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, খাতা কলমে চারজন থাকলেও অফিসে ২-৩ জন কর্মকর্তার দেখা মেলে। অনেক সময় গ্রাহকরা সেবা নিতে এসে ফিরে যান। অন্যান্য উপজেলা থেকে কর্মকর্তাদের প্রক্সি দিতে হয় জেলা অফিসে। জনবল সংকট থাকায় দেখা যাচ্ছে, কর্মকর্তারা ছুটি নিচ্ছেনা না। গ্রহকরা কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন না। কাঙ্খিত সেবা না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রাহকরা।

উচ্চমান সহকারী আব্দুল হাই বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় সময় মিটিং থাকলে বা জরুরি প্রয়োজনে মাঠে কোনো কাজে যেতে হলে অফিস থেকে একসঙ্গে দুই জন বের হওয়া যায়না। পদ শুন্য থাকায় গ্রাহকদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হয়। জেলা পর্যায়ে তথ্য দিতেও বাড়তি সমস্যায় পড়তে হয়। এছাড়াও জরুরী ভিত্তিক ছুটিও নেওয়া যায়না। এক বছর ধরে এভাবেই চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ০২৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৮
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।