আসাদ রানার পার্শ্ববর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গার দামুরহুদা উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের আলী আহম্মেদের ছেলে। তিনি মেহেরপুর কোর্টে কর্মরত ছিলেন।
শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মেহেরপুর সদর উপজেলার নুরপুর মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মেহেরপুর পুলিশ সুপার (এসপি) মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় ছুটি নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে গ্রামের বাড়ি চন্ডিপুরে যাওয়ার সময় মেহেরপুর সদর উপজেলার নুরপুর মোড়ে বিপরীত থেকে আসা অপর একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন আসাদ। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। পরে রামেক হাসপাতালে নেওয়ার পথে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর নামক স্থানে তিনি মারা যান। পরে নিহতের মরদেহ মেহেরপুর পুলিশ লাইনস নিয়ে আসা হয়।
আসাদের সহকর্মী মেহেদী হাসান জানান, মাত্র দুইদিন আগে গত ১৭ অক্টোবর আসাদের জন্মদিন ছিল। তার জন্ম দিনে আমরা সবাই অনেক আনন্দ করেছিলাম। অথচ সবাইকে কাঁদিয়ে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেলেন এ সহকর্মী।
তিনি বলেন, পুলিশের চাকরি করলেও নতুন মোটরসাইকেল কেনা তার শখ ছিলো। সময় পেলেই মোটরসাইকেল নিয়ে ঘোরাঘুরি করতেন। আমরা তার মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। তার মৃত্যুতে মেহেরপুর জেলা পুলিশের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহত আসাদ রানার চার বছর বয়সের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে বলেও জানান মেহেদী।
২০১১ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেবল পদে যোগদান করেন। দীর্ঘ ৫ বছর মেহেরপুর জেলায় কর্মরত ছিলেন তিনি। প্রথমে মেহেরপুর সদর থানায় ও পরে মেহেরপুর কোর্টে কর্মরত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৮
ওএইচ/