ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অস্ত্র জমা দিয়ে ৪৩ সন্ত্রাসীর আত্মসমর্পণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৮
অস্ত্র জমা দিয়ে ৪৩ সন্ত্রাসীর আত্মসমর্পণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অস্ত্র জমা দিলেন সন্ত্রাসীরা

কক্সবাজার: কক্সবাজারের মহেশখালী ও কুতুবদিয়া অঞ্চলের ছয়টি জলদস্যু বাহিনীর শীর্ষ ১২ দস্যুসহ ৪৩ সন্ত্রাসী অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন।

শনিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে মহেশখালী পৌরসভার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব- ৭) এ অস্ত্র জমা ও আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের হাতে ৯৪টি আগ্নেয়াস্ত্র ও সাত হাজার ৬৩৭ রাউন্ড গুলি জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন ৪৩ জন।

 

এদের মধ্যে আনজু বাহিনীর ১০ জন ২৪টি অস্ত্র জমা দিয়ে, রমিজ বাহিনীর দুই জন আটটি অস্ত্র জমা দিয়ে, নুরুল আলম প্রকাশ কালাবদা বাহিনীর ছয় জন ২৩টি অস্ত্র জমা দিয়ে, জালাল বাহিনীর ১৫ জন ২৯টি অস্ত্র জমা দিয়ে, আইয়ুব বাহিনীর ৯ জন ৯টি অস্ত্র জমা দিয়ে এবং আলাউদ্দিন বাহিনীর একজন একটি অস্ত্র দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।

জমাকৃত অস্ত্রের মধ্যে, এসএমজি (বেলজিয়াম) একটি, রিভলবার একটি, দেশি পিস্তল দুইটি, দেশি-বিদেশি একনলা বন্দুক ৫২টি, দোনলা দুইটি, ওয়ান শুটারগান ১৯টি, থ্রি কোয়ার্টার গান ১৫টি এবং ২২ বোর রাইফেল রয়েছে দুইটি। এছাড়া জমা পড়েছে সাত হাজার ৬৩৭ রাউন্ড গুলি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন,  জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ।  

র‌্যাব কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে বলেন, যারা আত্মসমর্পণ করেছেন এদের মধ্যে এমনও সন্ত্রাসী আছেন, যার বিরুদ্ধে ৪১টি মামলা পর্যন্ত রয়েছে।  

তিনি বলেন, প্রথম দফায় ৪৩ জন সন্ত্রাসী আত্মসমর্পণ করলেও দ্বিতীয় ধাপে আরও ২০০-২৫০ সন্ত্রাসী আত্মসমর্পণের বিষয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে।

‘আত্মসমর্পণের পরে তাদের মামলাগুলো আইন অনুযায়ী চলবে। তবে আইন সমুন্নত রেখে মামলার বিষয়ে যতোটা সহযোগিতা করা যায় তা করবে র‌্যাব। ’

এছাড়াও তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরানোর পাশাপাশি পুনর্বাসনের বিষয়েও উদ্যোগ নেওয়া হবে। এমনকি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আত্মসমর্পণ করা সন্ত্রাসীদের প্রত্যেককে আট লাখ করে পর্যায়ক্রমে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে বলেও জানান মেজর মেহেদী।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৮
আরআইএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।