শনিবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর মিরপুরের একটি কনভেশন হলে আয়োজিত জব ফেয়ার পূর্ব সেমিনারে বক্তারা এমন তাগিদ দেন। সেমিনার ও মেলার আয়োজন করে সাইক ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি (এসএমআইটি)।
সেমিনারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলো কারিগরি শিক্ষায় দক্ষতা বাড়িয়েই আজকের অবস্থানে এসেছে। আমাদেরও এ দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে প্রায় ৫০ হাজার বিদেশি কাজ করে। যাদের একজনের বেতন প্রবাসী বাংলাদেশির ১০-৫০ জনের সমান। অথচ কারিগরি শিক্ষায় দক্ষতা অর্জন করতে পারলে বিদেশেও যেতে হয় না। আবার বিদেশিরাও অর্থ নিয়ে যেতে পারে না। তাই এ শিক্ষায় দক্ষতার কোনো বিকল্প নেই।
কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অশোক কুমার বিশ্বাস বলেন, শিক্ষা মানুষের অধিকার। আর কারিগরি শিক্ষা বেঁচে থাকার অধিকার। নতুন নতুন প্রায়োগিক জ্ঞানকে আয়ত্ত করে দক্ষতা বাড়াতে হবে।
বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র অপারেশন্স অফিসার মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, প্রযুক্তি বা কারিগরি জ্ঞান কর্মসংস্থান কমিয়ে দেয়। আবার নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে। আগে টাইপরাইটার থাকলেও দেশে কম্পিউটার আসার পর এসব আর নেই। বর্তমানে অ্যাপ ডেভেলপার, প্রোগ্রামার পদ কতোকিছু হয়েছে। তাই কারিগরি দক্ষতা বাড়াতে হবে।
এসএমআইটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেলী ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন উদ্যোক্তা, চাকরিদাতাসহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে বক্তারা আরও বলেন, দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পরিবর্তন এবং উদ্ভাবনের ফলে বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন কৌশল, চাকরির ধরনের পরিবর্তন হয়েছে। এ পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশকে উন্নত, বেকারমুক্ত করতে হলে দক্ষ মানবসম্পদের প্রয়োজন। এজন্য কারিগরি শিক্ষার প্রয়োজন।
সেমিনার শেষে জব ফেয়ারে অংশ নেওয়া ২০টি চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের স্টল ঘুরে দেখেন অতিথিরা। প্রতিষ্ঠানগুলো এ ফেয়ার থেকেই তাদের বর্তমান চাহিদা পূরণ করতে চায়।
কারিগরি শিক্ষায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সাইক একটি পরিচিতি নাম। এখানকার শিক্ষার্থীদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে সাইক সহযোগিতা করে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৮
ইইউডি/আরআইএস/