৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ১ হাজার ৫০ বর্গফুট জায়গায় নির্মিত এ পাবলিক টয়লেটে পুরুষ ও নারীদের জন্য আলাদা ওয়াশরুম এবং টয়লেট ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত টয়লেট।
এছাড়া একটি করে ড্রিংকিং ওয়াটার ফিল্টার, ওজুখানা, দু’টি করে শাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। তাছাড়া থাকছে চারটি করে লকার ব্যবস্থা।
এসব সুবিধা ভোগ করার জন্য সিটি করপোরেশন নির্ধারিত ফি দিতে হবে। টয়লেট ব্যবহার ৫ টাকা, গোসল ১০ টাকা এবং বিশুদ্ধ খাবার পানি প্রতি গ্লাস ১ টাকা এবং লকার সুবিধার জন্য দিতে হবে ৫ টাকা।
এই পাবলিক টয়লেটের ওপর ফুডকোর্ট নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সিটি করপোরেশনের। খুব শিগগিরই এখানে একটি ফুডকোর্ট করা হবে।
উদ্বোধনের সময় প্যানেল মেয়র মো. জামাল মোস্তফা বলেন, নগরবাসীর মানসম্মত সেবার জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কাজ করে যাচ্ছে। নগরবাসীকে উন্নত সেবা দেওয়ার জন্য আমরা ১০০টি পাবলিক টয়লেট নির্মাণের পরিকল্পনা করেছি। এরইমধ্যে ২০টি সম্পন্ন হয়েছে, আরও ৮০টির জন্য জায়গা খুঁজছি। নগরবাসীর প্রয়োজন মোতাবেক আরও ৮০টি পাবলিক টয়লেট করবো। এছাড়া অত্যাধুনিক যাত্রী ছাউনি করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।
এসময় পাবলিক টয়লেটটির সুষ্ঠু ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সবার প্রতি আহ্বান প্যানেল মেয়র।
এ পাবলিক টয়লেট নির্মাণে রাজধানীর সামগ্রিক পাবলিক স্যানিটেশন ব্যবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে ক্রমবর্ধমান পাবলিক স্যানিটেশন চাহিদা পূরণের ধারাবাহিকতায় আরও একটি দৃষ্টান্ত স্থাপিত হলো।
ডিএনসিসির নিজস্ব অর্থায়নে স্থাপিত আধুনিক এ পাবলিক টয়লেটি এ অঞ্চলে চলাচলরত জনগণের স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখবে। আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন, প্রতিবন্ধীবান্ধব এ পাবলিক টয়লেটে নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা চেম্বার, হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, বিশুদ্ধ খাবার পানি, সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ, স্যানিটারি ন্যাপকিন, নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরাসহ পেশাদার পরিচ্ছন্নকর্মী ও নারী কেয়ারটেকারের ব্যবস্থা রয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর রজ্জব হোসেন ও ডিএনসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ড. তারিক বিন ইউসুফ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৮
এসএম/এএ