শনিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে সেনবাগের আঞ্চলিক মহাসড়কে ও হাতিয়ার তমরদ্দি এলাকায় এ পৃথক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সেনবাগ উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের ইদিলপুর গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে সালাউদ্দিন ও হাতিয়া উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের দাসপাড়া গ্রামের কুসুম চন্দ্র দাসের ছেলে টুটুল চন্দ্র দাস।
স্থানীয়রা জানায়, দুপুর ১টার দিকে নোয়াখালী-ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে মোটরসাইকেলে করে সেনবাগের দিকে যাচ্ছিলেন সালাউদ্দিন ও তার নাতী। পথে তাদের মোটরসাইকেলটি কল্যান্দি এলাকায় পৌঁছলে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশার সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলে সালাউদ্দিন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয় তার নাতী।
খবর পেয়ে চৌমুহনী হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সিএনজি ও মোটরসাইকেলসহ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।
অপরদিকে, দুপুর দেড়টার দিকে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার তমরদ্দি-ওছখালী সড়ক দিয়ে চট্টগ্রাম যাওয়ার উদ্দেশে দুই বন্ধুসহ মোটরসাইকেল নিয়ে ঘাটে যাচ্ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কলেজের ছাত্র টুটুল চন্দ্র দাস। পথে তাদের মোটরসাইকেলটি তমরদ্দি বাজারের কাছাকাছি পৌঁছলে ইঞ্জিনচালিত একটি ভ্যানগাড়ি তাদের ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলের তিন আরোহী গুরুতর আহত হন। এ অবস্থায় স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়ার পথে টুটুল মারা যান।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেল ও ভ্যানগাড়িটি আটক করে হাতিয়া থানা পুলিশ।
চৌমুহনী হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ শাহজাহান খান ও হাতিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাসান বাংলানিউজকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৮
এসআরএস