রোববার (২১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় দুদক কার্যালয়ে আসেন এম এ হাসেম। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের উপ-পরিচালক মোশারফ হোসেইন মৃধা।
এ সময় তিনি প্রথমে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে এম এ হাসেম বলেন, ‘আমি জানি না কেন আমাকে ডাকা হয়েছে। ’
এর আগে, গত ১৯ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মোশারফ হোসেইন মৃধা এম এ হাসেমকে তলব করে নোটিশ পাঠান। সেই চিঠিতে তাকে ২৬ সেপ্টেম্বর দুদক কার্যালয়ে হাজির থাকতে বলা হয়েছিল। তবে অসুস্থতার কারণে হাসেম আরও এক মাস সময় চান। পরে দুদক তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নতুন করে ২১ অক্টোবর দিন ঠিক করে।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে, পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ হাসেম সরকারের রাজস্ব ফাঁকি, বৈধ ব্যবসার আড়ালে অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা ও নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ৫শ’ একর সরকারি সম্পত্তি দখলের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।
এছাড়া পারটেক্স গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে স্বল্প মূল্যে পণ্য আমদানি করে মূল্য বেশি দেখিয়ে শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করার অভিযোগও এনেছে দুদক।
এর আগে, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ হাসেম ও তার দুই ছেলেকে সোনালী ব্যাংক থেকে ঋণপত্রের (এলসি) বিপরীতে চিনি আমদানির নামে ১৫০ কোটির টাকার অনিয়মের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল দুদক।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৮
আরএম/ওএইচ/