রোববার (২১ অক্টোবর) রাতে জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে কথাগুলো বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। এরআগে বিষয়টি উত্থাপন করেন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) প্রেসিডেন্ট এস এম আবুল কালাম আজাদ।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। স্বাধীনতার পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে চার মূলনীতি গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্ম নিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদ। এর ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে আমাদের সংবিধান প্রণয়ন হয়। এখানে ড. কামাল হোসেনের নাম এসেছে। তিনি সংবিধান প্রণেতা দাবি করেন।
‘আমরাও গণ পরিষদের সদস্য ছিলাম। সেই সংবিধানে আমাদেরও স্বাক্ষর আছে। যিনি নিজেকে সংবিধান প্রণেতা দাবি করেন তিনি কি করে সংবিধান পরিপন্থি কাজে যারা বিশ্বাস করে, যারা জাতির পিতার হত্যার সঙ্গে জড়িত, যারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িত, যারা সাজাপ্রাপ্ত, যেখানে একটা দলের যাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে অবিহিত করা হয়, সেই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে তার সঙ্গে কি করে তারা ঐক্য করে। এই ব্যাপারটা নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো। ’
তিনি বলেন, একটা অশুভ ঘটনা হতে চলেছে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জাতির জানা দরকার। আমরা প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে চাই। আমরা স্পিকারের অনুমতি নিয়ে যে কোনো একদিন এটা নিয়ে আলোচনা করতে চাই, দেশের মানুষকে অনেক কিছুই জানাতে চাই। এছাড়া টানা ১০ বছর ক্ষমতায় থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের কী কী উন্নয়ন করেছেন, কীভাবে উন্নয়ন করেছেন, দেশকে অগ্রগতির সোপানে নিয়ে গেছেন- এটা নিয়েও আমরা সংসদে একদিন আলোচনা করতে চাই।
এস এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ড. কামাল হোসেন সংবিধান প্রণয়ন করেছেন। তিনি নিজেকে সংবিধান প্রণেতা দাবি করেন। কিন্তু সংবিধানের মুখবন্ধে বঙ্গবন্ধুর নাম রাখা হয়নি। এতোদিনে আমরা বুঝতে পারলাম কেন সংবিধানের মুখবন্ধে জাতির জনকের নাম রাখা হয়নি। ড. কামাল হোসেন মুক্তিযুদ্ধে ছিলেন না, তিনি পাকিস্তানপন্থি ছিলেন। এ কারণেই তিনি সংবিধানের মুখবন্ধে বঙ্গবন্ধুর নাম রাখেননি উদ্দেশ্যেমূলকভাবেই। এটা তার অসততা, অসৎ উদ্দেশ্যে ছিল।
আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুতে সংসদে শোক প্রস্তাব
বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৮
এসকে/এসএম/এএ