একই সঙ্গে এ ঘটনায় আরও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অপর তিন জনকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
সোমবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শহিদুল আলম ঝিনুক পাঁচ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বাদশা মিয়া তার ভাতিজা মনিরকে সেনাবাহিনীর চাকরির লোভ দেখিয়ে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে অপহরণ করে সাভারে নিয়ে যান। এরপর মনিরের মা মালেকা বেগমের কাছে ফোন করে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
পরের দিন ২০১৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মনিরের মা মালেকা বেগম বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। এ ঘটনায় প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ বাদশা মিয়াকে সাভার থেকে আটক করে।
তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে আরও চারজনকে আটক করা হয়। সেই সঙ্গে র্যাব ও পুলিশের সহযোগিতায় সাভারের বংশাল নদীতে অভিযান চালিয়ে মনিরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরে ২০১৬ সালের ১৯ এপ্রিল আটজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। আদালত ২৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের পর আসামি বাদশা, লাল মিয়া, আনোয়ার ও আজগরকে ফাঁসির দণ্ড দেন। আর আক্তার হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।
রায় ঘোষণার সময় বাদশা ও লাল মিয়া উপস্থিত থাকলেও সাজাপ্রাপ্ত আনোয়ার ও আজগর এবং আক্তার পলাতক ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম। আর আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী জাকির হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৮
কেএসএইচ/এমএ