তারা হলেন-পাবনার আতাইকুলা থানার ধর্মগ্রামের মধ্যপাড়ার খাইরুল সরদারের ছেলে সবুজ সরদার (৩২), রতন সরদারের ছেলে লিটন সরদার (৩২), লোকমান সরদারের ছেলে জহুরুল সরদার (৩০) ও মৃত সোলাইমান খন্দকারের ছেলে ফারুক খন্দকার (৩৮)।
সোমবার (২২ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালে তিনজনের মরদেহ দেখে শনাক্ত করেন স্বজনরা।
নিহত সবুজের বাবা মো. খায়রুল সরদার জানান, নিহত সবুজ তার বড় ছেলে। সবুজের স্ত্রী ও জিসান নামের সাতমাসের একটি ছেলে রয়েছে। সে গ্রামের বাড়িতে বেকারীতে কারিগর হিসেবে কাজ করতেন। অভাবের তাড়নায় পরিবারের ঋণের (কিস্তি) টাকা পরিশোধ করার উদ্দেশ্যে গত সোমবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকায় যায়। এর পরদিন থেকেই সবুজের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকলে তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। ঢাকার একটি বেকারিতে কাজের জন্য যোগ দেবেন বলে বাড়িতে বলেছিলেন।
অন্যদিকে ফারুক হোসেন বাসচালক বলে জানিয়েছেন তার পরিবার। তবে স্বজনদের দাবি, তারা কেউই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না। গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে সবুজ, ফারুক ও জহুরুলকে তুলে যাওয়া হয়েছিল বলে এলাকাবাসীর মাধ্যমে তারা জানতে পেরেছেন।
এ ঘটনায় বাদি হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা ও অস্ত্র আইনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেছে আড়াইহাজার থানা পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৮
ওএইচ/