ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘এ গাছের ছাল ও গাছের বাকল মিলে একটা কিছু তৈরি হয়েছে’

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৮
‘এ গাছের ছাল ও গাছের বাকল মিলে একটা কিছু তৈরি হয়েছে’

গণভবন থেকে: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে গড়ে ওঠা ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’কে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে রাজনৈতিক স্বাধীনতা রয়েছে। গণতান্ত্রিক ধারা রয়েছে। এর সুফল নিয়ে যদি কেউ ঐক্যবদ্ধ হতে পারে তাহলে অসুবিধা নেই। কিন্তু যারা এক হলো তাদের ব্যাপারে একটু খোঁজ নেওয়া দরকার। এটাকে বাংলাদেশের মানুষ কিভাবে দেখে, সেটাই বড় কথা।

সোমবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক সৌদি আরব সফর নিয়েই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী তার সফরে দু’দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক, বাদশাহ সালমান ও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠকের কথা তুলে ধরেন। উল্লেখ করেন অন্যান্য কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের কথাও। তিনি বলেন, এ সফর দু’দেশের সম্পর্কোন্নয়নে সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখবে।

সম্প্রতি গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি-জেএসডি-নাগরিক ঐক্যসহ বেশ কিছু দলকে নিয়ে ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ গঠিত হয়। এই ফ্রন্ট নিরপেক্ষ সরকারের অধীন নির্বাচন এবং খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করেছে সরকারের কাছে।

এই ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে তো রাজনৈতিক স্বাধীনতা রয়েছে, কথা বলার স্বাধীনতা আছে, সাংবাদিকতার স্বাধীনতা আছে, সব কিছু মুক্ত। আমাদের বিচার বিভাগ স্বাধীন, সবই স্বাধীন। মানুষ স্বাধীনতা ভোগ করছে। সেই সুযোগ নিয়ে কিছু রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, সেটাকে স্বাগত জানাই। কারণ এটা প্রয়োজন আছে। তারা যদি সবাই ঐক্যবদ্ধ হতে পারে, তারা যদি রাজনৈতিকভাবে সাফল্য পায়, তাহলে তো অসুবিধা নাই। তবে একটু কথা বলার দরকার। কারা কারা এক হলো, সেটা আপনারা একটু খোঁজ নিয়ে দেখবেন। ’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘যারা সেখানে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, তারা কোথা থেকে এসেছে, কার কী ধরনের ভূমিকা, কী ধরনের বাচনভঙ্গি, এমনকি মেয়েদের প্রতি যে কী ধরনের কটূক্তি করতে পারে, সে প্রতিযোগিতাও তৈরি হয়েছে। এই যে এ গাছের ছাল, ওই গাছের বাকল সবমিলে একটা তৈরি হয়েছে, তো, যাক তারা ভালো কাজ করুক, সেটা চাই। আওয়ামী লীগ এটা নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা করে না। বরং একটা হয়েছে, এটাই ভালো। এখানে স্বাধীনতাবিরোধী আছে, এখানে জাতির পিতার হত্যাকারীদের মদতদাতা, ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স দিয়ে তাদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা, এমনকি যারা জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে, বাংলাদেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে, তারা মিলেই কিন্তু এক জায়গায় হয়েছে। এটাকে বাংলাদেশের মানুষ কিভাবে দেখে, সেটাই বড় কথা। ’

‘জোটের এক সদস্য একজন নারী সাংবাদিককে যে নোংরা কথা বলতে পারে, তারা সবাই এক। এমন একটা জোট হয়, আমরা খারাপ কিছু দেখছি না। তারা যদি কিছু অর্জন করতে চায় করুক। কারণ, এদের কেউ কেউ আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে, কেউ কেউ আওয়ামী লীগেও ছিলেন। তারা জোট করেছেন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। রাজনীতিতে এ স্বাধীনতা সবার আছে, কারণ এখানে একটি গণতান্ত্রিক ধারা প্রতিষ্ঠিত। সেই সুফল নিয়ে যারা জোটবদ্ধ হয়েছেন, তারা কী করতে পারেন দেখা যাক। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৮
এসকে/এমইউএম/এইচএ/

** সৌদি সফর দু’দেশের সম্পর্কোন্নয়নে ভূমিকা রাখবে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।