সোমবার (২২ অক্টোবর) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসীদের অর্থ দেশের ক্রমবর্ধমান কর্মসৃজনের পাশাপাশি বেকারত্ব হ্রাস, দারিদ্র্য বিমোচন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিসহ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখছে।
সরকারি দলের সদস্য এনামুল হকের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিশ্বের ১৬৫টি দেশে বাংলাদেশের কর্মী যাচ্ছে। এরমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার। সৌদি আরবে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি যায়। ২০১৭ সালে দেশটিতে ৫ লাখ ৫১ হাজার ৩০৮ জন এবং চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ লাখ ৮৭ হাজার ২২৩ জন কর্মী দেশটিতে গেছে।
নাজমুল হক প্রধানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে সরকারি তত্ত্বাবধানে অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে বেসরকারিভাবে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো হয়। ২০১৬ সালে সরকার অধিক হারে কর্মী পাঠানোর জন্য বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিকে অন্তর্ভুক্ত করে মালয়েশিয়ার সঙ্গে জিটুজি প্লাস সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এ প্রক্রিয়ায় সারাদেশ থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২ লাখ ৪১ হাজার ৮৬৭ জন কর্মী পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, পাঠানো কর্মী সরকারের তত্ত্বাবধানে বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে গিয়েছেন। ইতোপূর্বে সফল শ্রম কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় দুই লাখ ৬৭ হাজার অবৈধ অভিবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকের বৈধতা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বর্তমানে ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার কারণে যে সব কর্মী অবৈধ হয়ে পড়েছে তাদের বৈধকরণের বিষয়ে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৮
এসএম/এএ