তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর সোমবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আগৈলঝাড়া উপজেলার পয়সারহাট এলাকার আঞ্চলিক মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন তল্লাশির সময় মোটরসাইকেল আরোহী ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
পরিচয়পত্রে বরিশাল ডিআইজি অফিসের ‘অফিস সহায়ক’ (ওএস) হিসেবে উল্লেখ করা যুবকের নাম রাসেল খন্দকার (২৩)। তিনি আগৈলঝাড়া উপজেলার পূর্ব পয়সা গ্রামের সেলিম খন্দকারের ছেলে। তার কাছ থেকে বাংলাদেশ পুলিশের লোগো সংবলিত একটি ভুয়া পরিচয়পত্র জব্দ করা হয়েছে।
আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাংলানিউজিকে জানান, রোববার বিকেলে পয়সারহাট এলাকার আঞ্চলিক সড়কে এসআই (উপ-পরিদর্শক) জামাল হোসেন একটি মোটরসাইকেল আরোহীকে থামানোর সংকেত দেয়। তখন মোটরসাইকেল আরোহী রাসেল খন্দকার (২৩) নিজেকে বরিশাল ডিআইজি অফিসে কর্মরত পুলিশ সদস্য বলে পরিচয় দেন। এসময় তার পরিচয়পত্র দেখাতে বললে, রাসেল বাংলাদেশ পুলিশের মনোগ্রাম সংবলিত নিজের পরিচয়পত্র পুলিশকে দেখান। সেই পরিচয়পত্রে লেখা রয়েছে মো. রাসেল খন্দকার, অফিস সহায়ক (ওএস), আইডি নং-০৫১৯।
পরিচয়পত্রের অপর পাতায় ছিল রাসেলের ব্যাক্তিগত পরিচয় ও জন্ম তারিখ। কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা জামাল হোসেনের ওই পরিচয়পত্র দেখে সন্দেহ হলে তাকে থানায় নিয়ে যান। এরপর রাতেই উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে রাসেলের ভুয়া পরিচয় প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত হন।
ওসি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল পুলিশের পরিচয়পত্র সংগ্রহের ব্যাপারে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তা গোপন রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় থানার এসআই জামাল হোসেন বাদী হয়ে রাসেলকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
বাংলাদেশ সময় : ১৯২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৮
এমএস/এপি/এইচএ/