মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) সকালে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। নিহত হালিমা শরণখোলা উপজেলার চালতাবুনিয়া গ্রামের আব্দুল হাই হাওলাদারের মেয়ে।
নিহতের বড় ভাই মাসুম হাওলাদার বাংলানিউজকে জানান, ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে পারিবারিকভাবে একই উপজেলার রাজৈর গ্রামের মজিদ মুন্সির ছেলে আল আমিন মুন্সির সঙ্গে হালিমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আল আমিন বিভিন্নভাবে আমার বোনকে অত্যাচার এবং মারধর করতো। সম্প্রতি আল আমিন চাকরির জন্য হালিমার কাছে টাকা চায়। এ ঘটনার জেরে সোমবার দিনভর তাকে মারধর করে আল আমিন। পরে রাতে মৃত অবস্থায় শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যাই। আল আমিনের বাড়িতে বিষয়টি জানতে গেলে সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান মাসুম।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার সরকার বাংলানিউজকে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হালিমার গলায় রশির দাগ রয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে।
তবে হালিমার পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ অভিযোগ দিলে এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৮
জিপি