সোমবার (২৩ অক্টোবর) ভোরে পৃথক দুটি অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় কোনো মাদক পাচারকারীকে আটক করা যায়নি।
টেকনাফ বিজিবি-২ এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আছাদুদ জামান চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, হ্নীলা ইউনিয়ন দিয়ে ইয়াবা পাচার হবে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খারাংখালী বিওপির নায়েক সুবেদার মো. নওশের আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল আড়াই নম্বর স্লুইচ গেট এলাকার একটি ধান ক্ষেতে ওৎ পেতে থাকেন। ভোরে নাফ নদীর পাড়ে টর্চের লাইটের আলো দেখতে পেয়ে বিজিবি সদস্যরা পেছন থেকে তাদের ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে ইয়াবা পাচারকারীরা একটি প্লাস্টিকের বস্তা ফেলে পালিয়ে যান। পরে প্লাস্টিকের বস্তা থেকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। যার অানুমানিক মূল্যে এক কোটি পঞ্চাশ লাখ টাকা।
তিনি জানান, এর আগে সোমবার রাতে সাবরাং ইউনিয়নের আচারবুনিয়া এলাকার একটি সুপারি বাগানে ইয়াবা বিক্রি হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি সদস্যরা সেখানে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় বিজিবি সদস্যরা আচারবুনিয়ার একটি সুপারি বাগানে পরিত্যক্ত পলিথিনের ব্যাগ থেকে নয় হাজার ৮০০ পিস ইয়াবা জব্দ করে। যার আনুমানিক মূল্য ২৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
ইয়াবাগুলো ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে, যা পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে বলেও জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আছাদুদ জামান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৮
আরআইএস/