নিহত মঞ্জুরুল ইসলাম দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার গোয়ালদিঘী গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে।
সোমবার (২২ অক্টোবর) গভীর রাতে দেবীডুবা ইউনিয়নের সোনাপাতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোনাপাতা গ্রামে অব্যাহত গরু চুরি ঠেকাতে কয়েকদিন ধরে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছিলেন গ্রামবাসী। ওই গ্রামে প্রায়ই গরু চুরির ঘটনা ঘটছিল। সোমবার গভীর রাতে মঞ্জুরুল নামে ওই যুবক সোনাপাতা গ্রামে আব্দুল বাছেদ ওরফে বাচ্চাউ এর বাড়ি থেকে গরু চুরি করে পালাচ্ছিল। এ সময় বাড়ির লোকজন টের পেয়ে চিৎকার করলে একপর্যায়ে গ্রমাবাসী সোনাপাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে মঞ্জুরুল ইসলামকে ধরে ফেলেন। বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী সেখানেই তাকে বেধরক মারধর শুরু করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে স্থানীয় ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদ উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় দ্রুত তাকে উদ্ধার করে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার সকালে নিহতের সুরতহাল শেষে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠায়।
দেবীডুবা ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদ জানান, এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে একের পর এক গরু চুরির ঘটনা ঘটছে। গত দেড় বছরে এখানে ৩৫ থেকে ৪০টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ অবস্থায় গরু চুরি করে পালানোর সময় ওই যুবক আটক হওয়ায় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী গণপিটুনি দেয়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. শাহ আলম গণপিটুনিতে ওই যুবক নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনায় নিহতের বাবা আজিজুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ওই গ্রামের অজ্ঞতনামা ৩শ’ থেকে ৪শ’ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৮
আরএ