প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই দিন বিকেল ৪টায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ঢাকার ৩৩ বেইলি রোডে নির্মিত ওই কমপ্লেক্স উদ্বোধন করবেন বলে জানায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মো. আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এবং স্বাগত বক্তব্য রাখবেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নূরুল আমিন।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এএইচএম জুলফিকার আলী মঙ্গলবার বাংলানিউজকে জানান, ১৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে পার্বত্য ঐতিহ্যমণ্ডিত ‘শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স’ নামে নান্দনিক এই ভবন নির্মিত হয়েছে।
‘শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স’ শীর্ষক প্রকল্পটি সরকারের মধ্যমেয়াদী বাজেটের অন্তর্ভুক্ত, যা ২০১৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন হয়।
জুলফিকার জানান, কমপ্লেক্সেটিতে একটি মাল্টিপারপাস হল, ডরমেটরি, প্রশাসনিক ভবন, মিউজিয়াম, লাইব্রেরি ছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যানের বাসভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের সঙ্গে সমতলের মানুষের পারস্পরিক সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান, সহযোগিতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেলবন্ধন তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে এই কমপ্লেক্স।
এছাড়া স্থাপনাটি পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, সামাজিক রীতি-নীতি, ভাষা, ধর্ম ও আচরণগত স্বতন্ত্রতা সম্পর্কে বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষকে পরিচিত করে তুলবে বলে জানান জুলফিকার।
কমপ্লেক্সটি পর্যটকদের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও কৃষ্টি-সংস্কৃতির সমন্বয়ে একটি দৃষ্টিনন্দন শৈল্পিক স্থাপনা হিসেবেও বিবেচিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, ১৭৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৮
এমআইএইচ/এএ