মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি বৃষ্টিধারা আবাসিক এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, ওই এলাকার মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলীর বাড়ির পাশের ডোবায় একটি মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
এদিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যে স্থানে মরদেহটি পাওয়া গেছে তার পাশেই জসিম উদ্দিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া দেলোয়ার হোসেন ময়না নামে এক ব্যক্তির ১৪ বছরের ছেলে মো. সাফিন নিখোঁজ রয়েছে গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে।
এ বিষয়ে ময়না গত ৩০ সেপ্টেম্বর ছেলে নিখোঁজের বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। এরপর থেকে এখন অবধি তার ছেলেকে পাওয়া যায়নি। সাফিনের পরিবারের দেওয়া তথ্য মতে নিখোঁজের সময় তার পরনে ছিলো গেঞ্জি এবং হাফপ্যান্ট।
অপরদিকে, মঙ্গলবার বিকেলে উদ্ধার করা মরদেহের পরনেও গেঞ্জি এবং হাফপ্যান্ট ছিলো। তবে মরদেহটি পচে যাওয়ায় এখনো পর্যন্ত শনাক্ত করা যাচ্ছে না আসলে এটা ময়নার নিখোঁজ হওয়া ছেলে সাফিন কিনা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে উপস্থিত ছিলেন ময়না। কিন্তু তিনি মরদেহটি তার নিখোঁজ ছেলের সাফিনের কিনা তা শনাক্ত করতে পারেননি।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সাত্তার টিটু জানিয়েছেন, অনেকদিন আগের হওয়ায় মরদেহাট পুরোটাই পচে গেছে। ৩০ সেপ্টেম্বর থানায় একটি হারিয়ে যাওয়া জিডি হয়েছিলো। মরদেহটি আসলে তার কিনা তা আমরা শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। আর কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৮
আরএ