মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নগরভবনের সামনে ফজলুল হক এ্যাভিনিউতে আয়োজিত বরিশাল সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের অভিষেক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় মেয়র সাদিক আরো বলেন, এ অবস্থানে আসার জন্য আমি প্রথমে শুকরিয়া আদায় করছি আল্লাহর কাছে।
তিনি বলেন, বৃক্ষ তোমর নাম কি ফলে পরিচয়, তাই আমি কাজের মধ্য দিয়েই আমার পরিচয় তুলে ধরতে চাই। বিগত মেয়রদের থেকে আমার কাছে এই নগরবাসীর আশা-আকাঙ্খা, চাওয়া-পাওয়াটা অনেক বেশি। তাই সবার কাছে দোয়া চাই যেন আপনাদের মনের আশা-আকাঙ্খা পূরণ করতে পারি।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু নগরভবনে সাড়ে ৩শ’ কোটি টাকার দেনা নিয়ে বসছি, তাই দেনা পরিশোধ না হওয়া না পর্যন্ত সম্মানী নেবো না। আর করপোরেশন তার নিয়মানুযায়ী চলবে। কোনো কাউন্সিলর করপোরেশনে ঠিকাদারী করতে পারবে না।
প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ১৩০ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা জানিয়ে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।
বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার রাম চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে অভিষেক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর এসএম ইমামুল হক, বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মোশারফ হোসেন, বরিশাল জেলা প্রশাসক অজিয়র রহমান, বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. একেএম জাহাঙ্গীর, মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুব উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম, বরিশাল প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অ্যাড. মনবেন্দ্র বটব্যাল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ্র দুই ভাই সেরনিয়াবাত মঈন আবদুল্লাহ্ ও আশিক আবদুল্লাহসহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা এবং উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৮
এমএস/আরএ