মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) রাতে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ বিধির আওতায় আনিত প্রস্তাব সাধারণের উপর আলোচনায় এসব কথা উঠে আসে। এসময় প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ও হুইপ মো. শহীদুজ্জামান সরকার।
প্রস্তাবটি হচ্ছে ‘রোহিঙ্গা ইস্যূতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক ও উদারনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, দর্শন-চিন্তা দেশে বিদেশে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত ও সমাদৃত হচ্ছে। এরই ফলশ্রুতিতে ইন্টার প্রেস সার্ভিস নিউজ এজেন্সি, ইউএন কর্তৃক হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাওয়ার্ড এবং গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশন কর্তৃক স্পেশাল ডিসটিনশন অ্যাওয়ার্ড ফর লিডারশীপ সন্মাননায় ভূষিত করা হয়েছে। এসকল সন্মাননা অর্জনের মাধ্যমে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলতর করায় প্রধানমন্ত্রীকে জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনার মাধ্যমে ধন্যবাদ জানানো হোক। ’
ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে এসময় শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, 'নির্বাচনের ধোয়া তুলে যারা ২০১৪ সালের মতো অগ্নি সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চায়, তাদের সম্পর্কে দেশবাসীকে সজাগ থাকতে হবে। তারা হালে পানি পাচ্ছে না। মানুষ যখন ডুবে যায় তখন খড়কুটা ধরে বাঁচতে চায়। যেহেতু তারা মানুষের কাছে চিহ্নত হয়ে গেছে, তাই তারা নতুন নতুন মানুষ নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে দেশকে আবার অন্ধকারে নিয়ে যেতে চায়। '
ড.কামাল হোসেনের সংবাদ সম্মেলনের বক্তৃতার প্রসঙ্গ টেনে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, 'তিনি কিভাবে বলেন তারেক জিয়া ও জামায়াতের সঙ্গে ঐক্য করেন নাই। যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া সেই দলের নাম বিএনপি, তার সাথে তিনি ঐক্য করেন কিভাবে! তিনি বলেন, ''আমি তারেক জিয়া আর জামায়াতের সাথে ঐক্য করি নাই। '' এই বক্তব্যেকে আমরা ঘৃণা করি।
'তিনি তো সংবিধান প্রণেতার কথা বলেন। তিনি অসাংবিধানিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এই সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন। আজ তিনি এবং অন্যরা যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খুনের মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী, যে দলে স্বাধীনতা বিরোধী, তাদের সাথে ঐক্য করে এই দেশে কি করবেন আমরা জানি না। '
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, 'নতুন করে সরকার গঠনের জন্য আমাদের সংবিধান অনুযায়ী ৫ বছর অন্তর নির্বাচনে প্রস্তুত হতে যাচ্ছে, তখন আমরা দেখতে পাচ্ছি নানা ধরণের খেলাধুলা। এই খেলাধুলা তো ২০১৪ সালেও খেললেন? কি পাইছেন? কিছুই পাননি। আজকেও কিছুই পাবেন না। '
একটি হাস্যরস গল্পের মাধ্যমে ড. কামাল হোসেনের সমালোচনা করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, 'বাঘ মারতে যামু বন্দুক নিয়ে রেডি হইলাম আমি আর মামু। মামুরা বন্দুক নিয়ে রেডি হন, বাঘও মরবে না কিছুই হবে না। আপনারা কিভাবে লেজ গুটাবেন সেটা দেশের মানুষ দেখেছে। '
ড.কামাল হোসেনের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, 'তিনি বলেছেন জামায়াত বা তারেক রহমানসহ অন্য কোন বিশেষ নেতার প্রতি সমর্থন হিসেবে এই উদ্যোগকে দেখার সুযোগ নাই। তাইলে কি? কি সুযোগ নাই। তারেক রহমান কি রিজাইন দিছে? তারেক রহমানকে কি বাদ দিয়ে দিছে? কেউ বলতে পারবেন? বিএনপি নেতারা স্টেটমেন্ট দিয়ে বলুক। সবাই জানে সে পলাতক আসামি, একই সঙ্গে সে সাজাপ্রাপ্ত আসামী। তিনি জানেন তারেক রহমান বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত নেতা। সুতরাং যে জেগে ঘুমায় তাকে আপনি কি বলবেন! আসলে এক ধরণের পাখি আছে তারা চোখ বুজে খাবার লুকায়, পরে নিজেই খুঁজে পায় না। ড. কামাল হোসেন হলেন সেই পাখি, এখন খাবার লুকাচ্ছেন নিজে খুঁজে পাবেন কি না সেটাও দেখুন। '
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৮
এসএম/এইচএমএস/এমকেএম