আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে অর্থাৎ কোজাগরী পূর্ণিমায় দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার পর থেকে শুরু হয়। চলে বুধবার (২৪ অক্টোবর) রাত ১০টা ৪১ মিনিট পর্যন্ত।
রাতে জেগে দেবীর অনুগ্রহ লাভের প্রত্যাশায় ধ্যান-আরাধনায় মগ্ন থাকবেন ভক্তরা। সনাতন রমনীরা চালের গুঁড়ো করে পানি দিয়ে গুলিয়ে পূজার ঘরের মেঝে ও মূল প্রবেশ পথটিও রাঙিয়ে তুলে লক্ষ্মীপুজার আলপনার রঙে ও নকশায়। এছাড়া রমনীরা উপবাসব্রত (উপবাস সনাতনদের আচার বিশেষ) পালন ও সন্ধ্যায় ঘরে ঘরে লক্ষ্মীপুজার আলপনাতে প্রজ্বলন করা হবে প্রদীপশিখা।
দেবীর ভোগ হিসেবে রাখা হবে খিচুড়ি, লাবড়ার সঙ্গে প্রসাদে ফলমূল তো থাকেই, থাকে নারিকেলের নাড়ু, তিলের নাড়ু,। পাশাপাশি লুচি, পায়েস, মিষ্টির নানা আয়োজন থাকে দেবীর জন্য। এদিন মাছের পাঁচ পদের রান্না হয়। আবার পশ্চিমবঙ্গীয় রীতিতে এদিন পুরো নিরামিষ খাওয়া দাওয়া হয় এবং চালের কোনো রান্না করা হয় না।
প্রচলিত কথায় কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা বলা হয়ে থাকে। কোজাগরী অর্থ ‘কে জেগে আছ’? আর লক্ষ্মী মানে শ্রী, সুরুচি। লক্ষ্মী সম্পদ আর সৌন্দর্যের দেবী। খাদ্যশস্য হলো লক্ষ্মীর প্রতীক। যারা খাদ্য অপচয় করেন। তাদের ওপর দেবী লক্ষ্মী কখনোই তুষ্ট হন না।
সনাতন শাস্ত্র মতে, কোজাগরী পূর্ণিমা রাতে দেবী লক্ষ্মী ধনধান্যে ভরিয়ে দিতে ভক্ত গৃহে পূজা নিতে আসেন। প্রাচীনকাল থেকেই হিন্দু রাজা-মহারাজা, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সবাই দেবীকে পূজা দিয়ে আসছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৬ ঘণ্টা, অক্টেবর ২৪, ২০১৮
এএটি