বুধবার (২৪ অক্টোবর) ফতুল্লা মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোরশেদ আলম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় অজ্ঞাতনামা চারজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বরাত দিয়ে উপ-পরিদর্শক (এসআই) মজিবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, পাগলা মুন্সিখোলা চেকপোস্টে নারায়ণগঞ্জগামী বোরাক পরিবহনের একটি বাস থামিয়ে এএসআই মোরশেদ আলম নেতৃত্বে তল্লাশি চালায় কনস্টেবল বাবুল ও সোহেল রানা। এসময় পেছনে বসে থাকা তিন যুবককের (বয়স আনুমানিক ৩০-৩৫) একজন পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে কনস্টেবল সোহেলের বাম পায়ে গুলি লাগে।
এসময় যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে হুড়োহুড়ি শুরু করলে ওই তিনব্যক্তি বাসের জানালা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এসময় নিচে থাকা কনস্টেবল তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়। একপর্যায়ে একটি লাল রঙের মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
তিনি আরও জানান, আসামীদের শনাক্ত করতে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে পুলিশ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে। আশা করছি খুব শিগগিরই তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
এরআগে মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় ফতুল্লার পাগলা মুন্সীখোলা চেকপোস্টে তল্লাশির সময় এক পুলিশ কনস্টেবলকে গুলি করে যায় সন্ত্রাসীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৮
ওএইচ/