বুধবার (২৪ অক্টোবর) থেকে বাংলাদেশের প্রধান বৌদ্ধ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রাঙামাটি রাজবন বিহারসহ জেলায় প্রতিটি বৌদ্ধ বিহারে উৎসব মুখর পরিবেশে উদযাপিত হয় প্রবারণা পূর্ণিমা।
এ উপলক্ষে রাজবন বিহারসহ প্রতিটি বৌদ্ধ মন্দিরে ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন, ভিক্ষু সংঘের প্রাতরাশ, বুদ্ধ পূজা, পঞ্চশীল প্রার্থনা, অষ্টপরিষ্কার দান, বুদ্ধমূর্তি দান, পিণ্ডদান, পরিত্রাণ পাঠ, উৎসর্গ, ধর্মীয় দেশনা এবং বিকালে ধর্মীয় সভা, উৎসর্গ ও সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও ফানুস উড়ানো হয়েছে।
এদিকে জেলার বিভিন্ন বৌদ্ধ মন্দিরে দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব শুরু হয়েছে। আজ থেকে আড়াই হাজার বছরেরও আগে মহামতি গৌতম বুদ্ধের জীবদ্দশায় তার প্রধান সেবিকা বিশাখা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা কেটে রংকরণসহ তৈরি শেষে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের গেরুয়া কাপড় (চীবর) গৌতম বুদ্ধকে দান করেছিলেন। প্রতি বছর ভিক্ষুদের বর্ষা অধিষ্ঠান শেষে বিশাখা প্রবর্তিত এ দানকে কঠিন চীবর দানোৎসব পালন করেন বৌদ্ধরা।
এবার প্রবারণার সঙ্গে সঙ্গে বুধবার থেকে দুই দিনব্যাপী কঠিন চীবর দানোৎসব শুরু হয়েছে- রাঙামাটি সদরের বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নের খারিক্ষ্যং শাক্যবন বিহার, সাপছড়ি ইউনিয়নের বোধিপুর বন বিহার এবং শহরের আসামবস্তির বুদ্ধাঙ্কুর বৌদ্ধ বিহারে। ১৪-১৫ নভেম্বর রাঙামাটি রাজবন বিহারে সার্বজনীন কঠিন চীবর দানোৎসব আয়োজন করা হবে।
জানা যায়, বৌদ্ধ ভিক্ষুদের তিন মাসব্যাপী বর্ষা অধিষ্ঠান শেষে আশ্বিনী পূর্ণিমা তিথিতে ধর্মীয় মহোৎসবের আয়োজন করেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। আষাঢ়ী পূর্ণিমা তিথিতে বর্ষা অধিষ্ঠান শুরু হয়ে তা শেষ হয় আশ্বিনী পূর্ণিমায়। এর সঙ্গে সঙ্গেই আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে শুরু হয় কঠিন চীবর দানোৎসব। এ উপলক্ষে প্রবারণা উৎসব পালন করেন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৮
জিপি