ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফানুসের আলোয় রঙিন আকাশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৮
ফানুসের আলোয় রঙিন আকাশ প্রবারণা পূর্ণিমায় কক্সবাজারেও ফানুস ওড়ানো হয়। ছবি: বাংলানিউজ

কক্সবাজার: বিহার প্রাঙ্গণে জ্বলছে হাজারো প্রদীপ। আর আকাশে উড়ছে রঙ-বেরঙয়ের ফানুস। দুইয়ে মিলে যে আলোর সৃষ্টি হয়েছে তাতে রাঙা হয়ে গেছে পর্যটননগরী কক্সবাজারের আকাশ। 

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে বুধবার (২৪ অক্টোবর) কক্সবাজারের প্রাচীন বৌদ্ধ জনপদ রামুর প্রায় ২৫টি বিহারে দেখা গেলো এমন দৃশ্য।  

সন্ধ্যায় বিহার প্রাঙ্গণে হাজার প্রদীপ প্রজ্বলন, আকাশে ফানুস ওড়ানো, আতশ বাড়ি ফুটিয়ে ও সবশেষে জগতের সকল প্রাণীর সুখ এবং দেশ ও জাতীর সমৃদ্ধি কামনায় কক্সবাজারে শেষ হয়েছে প্রবারণা পূর্ণিমার প্রথম দিনের কর্মসূচি।

 

বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) রামু বাকখালী নদীতে অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহ্যবাহী জাহাজ ভাসানো উৎসব।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহার, রাংকুট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহার, রামু মৈত্রী বিহার, লাল চিং, সাদা চিং, অপর্ণা চরণ বৌদ্ধ বিহার, চেরাংঘাটা উসাইসেন বৌদ্ধ বিহার (বড় ক্যাং), উত্তর মিঠাছড়ি প্রজ্ঞামিত্র বন বিহার, বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রসহ উপজেলার ২৫টি বৌদ্ধ বিহারে শুভ প্রবারণা উপলক্ষে ভোরে বুদ্ধপূজা, সকালে সংঘদান ও অষ্টপরিষ্কার দান, পঞ্চশীল গ্রহণ, বিকালে সভা, সন্ধ্যায় হাজার প্রদীপ প্রজ্বলন, ফানুস ওড়ানো ও সমবেত প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।

সন্ধ্যায় রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারে হাজার প্রদীপ প্রজ্বলন ও সমবেত প্রার্থনায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের বৌদ্ধদের উপ-সংঘরাজ ও রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহা বিহারের অধ্যক্ষ পন্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথের।

বৌদ্ধ পুরাকীর্তি সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি ও রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহা বিহারের সহকারী পরিচালক প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু বাংলানিউজকে জানান, বুধবার সন্ধ্যায় হাজার প্রদীপ প্রজ্বলন,আকাশে ফানুস বাতি বা আকাশ প্রদীপ উড়ানো এবং সবশেষে জগতের সকল প্রাণীর সুখ-শান্তি এবং দেশ ও জাতীর সমৃদ্ধি কামনায় সমবেত প্রার্থনার মধ্য দিয়ে প্রথম দিনের কর্মসূচি সম্পন্ন হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) বৌদ্ধ পুরাকীর্তি সংরক্ষণ পরিষদের আয়োজনে বাকখালী নদীর চেরাংঘাটা ঘাটে আয়োজন করা হবে ঐতিহ্যবাহী কল্প জাহাজ ভাসানো উৎসব।  

এবারের উৎসবে মেরংলোয়া, হাইটুপি, হাইটুপি রাখাইন সম্প্রদায়, দ্বীপ শ্রীকুল, পূর্ব রাজারকুলসহ সাত গ্রামের সাতটি কল্পজাহাজ ভাসানো হবে। এরই মধ্যে জাহাজ ভাসানো উৎসব সফলভাবে সম্পন্ন করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।  
রামু উপজেলা বৌদ্ধ ঐক্য ও কল্যাণ পরিষদের নেতা পলক বড়ুয়া আপ্পু জানান, শুভ প্রবারণা উপলক্ষে উপলক্ষে প্রায় ২৫ বৌদ্ধ বিহারে দিনটি যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্যের সঙ্গে উদযাপন করা হচ্ছে।  

কক্সবাজার শহরের অগ্গমেধা ক্যাং, পাহাড়তলী উঃকুশল্যা বৌদ্ধ বিহারসহ জেলার চকরিয়া, পেকুয়া, উখিয়া, টেকনাফ, মহেশখালীসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিনটি পালন করা হচ্ছে।  

এর মধ্যে কক্সবাজার শহরের অগ্গমেধা ক্যাংয়ে জাঁকজমকপূর্ণভাবে দিনটি পালন করে স্থানীয় রাখাইন সম্প্রদায়। চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের উত্তর রাখাইন পাড়া,মধ্যম রাখাইন পাড়া ও দক্ষিণ রাখাইন পাড়ায় সন্ধ্যায় পানিতে দৃষ্টিনন্দন জল প্রদীপ জ্বালানোর আয়োজন করা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৮
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।