তার মধ্যে ঋণের আসল বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে ৮৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (টাকার হিসেবে ৬ হাজার ৬৪৩ কোটি) এবং ঋণের সুদ বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে ২০২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (টাকার হিসেবে ১ হাজার ৫৮১ কোটি)।
বুধবার (২৪ অক্টোবর) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ অধিবেশনের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তরে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
সংসদ সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এতে জনগণের মাথাপিছু আয় ২০০৬ সালের ৫৪৩ মার্কিন ডলার থেকে উন্নীত হয়ে ২০১৮ সালে এক হাজার ৭৫১ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান সরকারের লক্ষ্য হলো-২০৪১ সালের মধ্যে দেশের জনগণকে উন্নত, সমৃদ্ধ ও সুখী বাংলাদেশ উপহার দেওয়া। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য সুদূরপ্রসারী ‘প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১’ প্রণয়নের কাজ চলছে।
অর্থমন্ত্রী আরো জানান, এরই মধ্যে দেশের অমূল্য সম্পদ পানির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সব খাতের সমন্বয়ে প্রণয়ণ করা হয়েছে সমন্বিত দীর্ঘমেয়াদী ‘বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’। যা এরই মধ্যে অনুমোদন করা হয়েছে। সরকারের প্রত্যাশা ও বিশ্বাস, দেশের জনগণের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা সামনের দিনগুলোতেও বজায় থাকবে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশ।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরে জিডিপি’র প্রাক্কলিত প্রবৃদ্ধির হার ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। গত অর্থবছরে জিডিপি’র প্রাক্কলিত প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৪ শতাংশের বিপরীতে প্রকৃত প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
চলতি অর্থবছরে প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রাক্কলিত প্রবৃদ্ধির হার তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি অর্থবছরে ভুটানের প্রাক্কলিত প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ, মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৬, ভারতে ৭ দশমিক ৫, পাকিস্তানে ৬ দশমিক ২, মালদ্বীপে ৫ দশমিক ৯, নেপালে ৫ দশমিক ৯ এবং শ্রীলংকায় ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। এসব তথ্য পর্যালোচনা করে বলা যায় যে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রাক্কলিত প্রবৃদ্ধির হার প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভুটান ব্যতিত অন্যান্য দেশের চাইতে বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৮
এসএম/এসকে/এসআই