সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা সূত্র জানায়, মালবাহী ট্রেনের (গুড্স) পেছনে জুড়ে দেওয়া থাকে ওই ব্রেক ভ্যান। ওই ভ্যানে বসে রেলওয়ে গার্ড ট্রেনটি পরিচালনা করে থাকেন।
জানা যায়, ব্রেক ভ্যান আধুনিকায়নে বসানো হচ্ছে সোলার প্যানেল, যোগাযোগ প্রযুক্তি, টয়লেট, পাখা, লাইট, মোবাইল চার্জের ব্যবস্থা ইত্যাদি। ব্রেক ভ্যানে পর্যাপ্ত পানির জন্য ট্যাংকও ব্যবহার করা হচ্ছে। যে সুবিধা ভোগ করবেন গার্ডসহ রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) সদস্যরা। এতে করে যেমন আধুনিক সুবিধা নিশ্চিত হচ্ছে তেমনি দূরবর্তী যোগাযোগ ও স্টেশনগুলোতে অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত হবে।
রেলওয়ের একটি সূত্র জানায়, দেশের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে ভারত থেকে কয়লার আমদানি বেড়েছে। এক্ষেত্রে ওয়াগন র্যাকের ব্যস্ততাও বেড়ে যাবে। কারণ ওই র্যাকগুলোতে পরিবহন হবে কয়লা। এ কারণে মালবাহী ট্রেনে আধুনিক ব্রেক ভ্যান বসানোর নির্দেশনা এসেছে রেল মন্ত্রণালয় থেকে।
সরেজমিন সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, ক্যারেজ শপ, ওয়াগন শপ ও ট্রেড লাইটিং শপের শ্রমিকরা ব্রেক ভ্যান আধুনিকায়ন কাজে ব্যস্ত। প্রতিটি ব্রেক ভ্যান সংস্কারে ব্যয় হচ্ছে তিন লাখ টাকা। প্রাথমিক পর্যায়ে তিনটি ব্রেক ভ্যানে সৌরশক্তি ব্যবহারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এগুলো হচ্ছে ২৯০৭৯, ২৯০৫৫ ও ২৯০৫৬। চলতি সপ্তাহের শুরুতে সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী মাসে ভ্যানগুলো কারখানা থেকে বেরিয়ে যাবে।
রেলওয়ে কারখানার ওয়াগন শপের ইনচার্জ ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এসএসএই) আব্দুল হান্নান বাংলানিউজকে জানান, দেশে মালবাহী ট্রেনের ব্যাপক উন্নয়ন হলেও পিছিয়ে ছিলো ওয়াগন চলাচল ব্যবস্থা। ব্রেক ভ্যানে সোলার প্যানেল ব্যবহারের ফলে এর আধুনিকায়ন শুরু হলো।
ক্যারেজ শপের ইনচার্জ (এসএসএই) আবুহেনা দিলশাদ করিম বাংলানিউজকে জানান, আমাদের শ্রমিকরা অনেক মনোযোগ দিয়ে কাজ করছে। ওয়াগন পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্রেক ভ্যান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর আধুনিকায়ন করে চলাচল দ্রুত ও সহজ করা হচ্ছে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) মুহাম্মদ কুদরত-ই খুদা বাংলানিউজকে জানান, রেলওয়ের ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলে সব পণ্য পরিবহনে ব্রেক ভ্যান সৌরশক্তির আওতায় আনা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৮
এনটি