ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঢাকা-আরিচা রুটে সার্ভিস লেন, বাস-বে ও ট্রাক স্ট্যান্ড

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৮
ঢাকা-আরিচা রুটে সার্ভিস লেন, বাস-বে ও ট্রাক স্ট্যান্ড

ঢাকা: ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের দৈর্ঘ্য ৯০ কিলোমিটার। এ মহাসড়কের ২২/২৩টি স্থানে রয়েছে বিপদজ্জনক বাঁক। এসব স্থানে নিয়মিতিই দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। দুর্ঘটনা কমাতে মহাসড়কটিকে ফোর লেনে রূপান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে তার আগে সড়কে সার্ভিস লেন, বাস-বে ও ট্রাক স্ট্যান্ড নির্মাণ করবে সরকার।

এ সড়কে প্রতিদিন ১০ হাজারের অধিক হালকা ও ভারী যানবাহন চলাচল করে। প্রতিনিয়তই যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে।

যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনা এ মহাসড়কের জন্য একটি নিত্য-নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সমস্যা নিরসনেই সড়কের যাত্রীদের আরামদায়ক ভ্রমণের নিশ্চয়তা দিতে আলাদা সার্ভিস লেন, ট্রাক স্ট্যান্ড ও বাস-বে (বাস স্টপ সার্ভিস) নির্মাণ করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় সাড়ে ৮ কিলোমিটার মাটির কাজ, ১৭ কিলোমিটার সার্ভিস, ৮ কি.মি. সড়ক প্রশস্তকরণ, ৭৩ কি.মি. সড়কে সার্ফেসিং করা হবে। এছাড়াও ৮০টি অ্যাপ্রোচ রোড, ২৯টি ফুটওভারব্রিজ, ১১টি বেইলি সেতু, ৬৪ মিটার কালভার্টসহ সাইন, সিগন্যাল, রোড মার্কিন ও কংক্রিটের ড্রেন নির্মাণ করবে সরকার।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, দ্বিতীয় পদ্মাসেতু নির্মাণের একটা পরিকল্পনা আছে। ঢাকা-আরিচা খুবই গরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক। এ সড়কে যানবাহনের চাপও বেশি। সড়কে যানজট নিরসন ও দুর্ঘটনা হ্রাস করতে সার্ভিস লেন, বাস-বে ও ট্রাক স্ট্যান্ড নির্মাণ করা হবে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে ৩ হাজার ৮০০ কিলোমিটার মাহসড়ককে ফোরলেনে রূপ দেয়ার মহাপরিকল্পনা আছে। সেই পরিকল্পনায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কও রয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে সড়কের ঝুঁকি হ্রাসে এসব কাজ বাস্তবায়ন করে নিরাপদ সড়কে রূপ দেওয়া হবে। এরপরেই ফোরলেনে রূপ দেওয়া হবে সড়কটিকে।

ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক (ফাইল ফটো)ঢাকা-পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ডেডিকেটেড লেনসহ সার্ভিস লেন, বাস-বে ও ট্রাক স্ট্যান্ড নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৭০২ কোটি টাকা। চলতি সময় থেকে ২০২১ সাল মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। সাভার, ধামরাই, সাটুরিয়া, মানিকগঞ্জ, ঘিওর ও শিবালয় উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মহাসড়কটি চারলেনে উন্নীতকরণ জরুরি হয়ে পড়েছে। কিন্তু স্বল্পসময় ও সরকারি সীমিত তহবিলের কারণে এখনই চারলেনে রূপ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। পণ্যবাহী যানচলাচল এবং যাত্রীদের দ্রুত ও নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এ মহাসড়কের আমিনবাজার থেকে আরিচা পর্যন্ত ৩২টি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দীর্ঘ সময় লোকাল যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে সড়কেও জটলা সৃষ্টি হয়। এই জটলা নিরসনে ৩২টি বাস-বে নির্মাণ করা হবে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, এই মহাসড়কে জাতীয় স্মৃতিসৌধ অবস্থিত। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ সর্বস্তরের জনগণ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মত্যাগকারী জাতীয় বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য এ সড়ক পথেই যাতায়াত করেন। সড়কের উভয়পাশে মার্কেট, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, ব্যাংক অন্যান্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আন্তঃজেলা ট্রাক স্ট্যান্ড, বালু মহাল ও আবাসিক এলাকা রয়েছে। সড়কে মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতেই ১৫টি ট্রাক স্ট্যান্ড নির্মাণ করা হবে। পণ্য বোঝাইয়ের জন্য সড়কে শত শত ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকে। মহাসড়কের উপরে ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকার কারণে চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। সেই সাথে বাড়ছে দুর্ঘটনা। মহাসড়কে যেন ট্রাক দাঁড়িয়ে না থাকে সেজন্যই নির্মিত হবে ট্রাক স্ট্যান্ড।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৮
এমআইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।