বুধবার (২৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পাবনার পদ্মা নদীতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে আটকদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়।
পাবনা জেলা মৎস কর্মকর্তা আব্দুর রউফ বলেন, চলতি মাসের ৮ অক্টোবর থেকে নদীতে ইলিশ ধরা, বিক্রি ও বহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কিছু অসাধু ব্যক্তি নদীতে মা ইলিশ শিকার করেন। পাবনা জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল রাতে পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ৯ জেলেকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। জেলেদের নিকট থেকে জব্দকৃত এক লক্ষ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
মৎস কর্মকর্তা আরও জানান, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মা ইলিশ শিকারের দায়ে পাবনায় এ পর্যন্ত প্রায় দুই শতাধিক জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি নগদ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গত ১৪দিনে কয়েক টন ইলিশ এবং ২০ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন অভিযান পরিচালনা শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার অভিযান বেড়েছে কয়েকগুণ। তবে এবার ইলিশ ধরা বা বিক্রির পরিমাণ বেশী মনে হলেও আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমাদেরও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। পাবনার বিশাল এলাকা জুড়ে পদ্মা ও যমুনা নদীতে প্রশাসনের পক্ষে সার্বক্ষণিক পাহাড়া দেওয়াও সম্ভব হচ্ছে না। এরই ফাকে তারা এ ধরনের কাজ করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৮
এএইচ