বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুর দেড়টায় এ উৎসবের উদ্বোধন করবেন উখিয়া পাতাবাড়ি আনন্দভূবন বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ প্রজ্ঞাবোধি মহাথের। শত বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী কল্পজাহাজ ভাসানো উৎসবে শামিল হতে বাঁকখালীর দুই তীরে সমবেত হবেন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের হাজারো মানুষ।
এবছর জাহাজ ভাসানো উৎসবের আয়োজন করেছে রামু উপজেলা বৌদ্ধ ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও পুরাকীর্তি সংরক্ষণ পরিষদ।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ও রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহারের সহকারী পরিচালক প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষুর বাংলানিউজকে বলেন, এবার বিভিন্ন গ্রাম থেকে সাতটি কল্পজাহাজ ভাসানো হবে। ঘোড়া, ময়ূরপঙ্খী, জাদিপাহাড়, ইগল, দোয়েল, চিল, নাগ দেবতা ও মন্দিরের আদলে বাঁশ-বেত, কাপড় ও রঙিন কাগজ দিয়ে এসব জাহাজ তৈরি করা হয়েছে।
বৌদ্ধভিক্ষুরা জানান, আড়াই হাজার বছর আগে খারাপ দেবতার প্রভাবে বৈশালী রাজ্যে অনাবৃষ্টি, খরা ও দুর্ভিক্ষে মানুষ ও জীবজন্তু মারা যাচ্ছিল। তখন বৈশালীর রাজার আমন্ত্রণে শিষ্যদের নিয়ে ওই রাজ্যে যান গৌতম বুদ্ধ। তিনি ‘রত্ন সূত্র’ পাঠ করে খারাপ দেবতার প্রভাব থেকে বৈশালীকে রক্ষা করেন। ফিরতি পথে ৫০০টি নৌকায় শিষ্যসহ বুদ্ধকে নদী পার করে দেন সর্প দেবতারা। সেই দিনটিকে স্মরণ করতেই বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ বিভিন্ন স্থানে জাহাজ ভাসানো উৎসব উদযাপন করে আসছেন।
মিঠাছড়ি বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রের পরিচালক করুণাশ্রী থেরের সভাপতিত্বে উৎসবে কক্সবাজার-৩ আসনের (সদর-রামু) সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন, রামু উপজেলা পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম, রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. লুৎফর রহমান, কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ক্যাথিং অং উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৮
ওএইচ/