গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করা কিশোরীর নাম সালমা খাতুন (১৪)। বুধবার (২৪ অক্টোবর) রাতে সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের বালিঘুগরীর চর থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোকারম হোসেন বাংলানিউজকে জানান, সালমা তার মায়ের সঙ্গে ঢাকায় গার্মেন্টেসে কাজ করতেন। সেখানে সহকর্মী কুষ্টিয়ার বাসিন্দা সাইফুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। প্রায় ১০-১২ দিন আগে তারা বিয়েও করেন। বুধবার সকালে স্বামীর সঙ্গে কুষ্টিয়া যান সালমা। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, তার স্বামী বিবাহিত এবং সে স্ত্রীর সংসারে একটি সন্তানও রয়েছে। এ অবস্থায় সাইফুলের বাবা-মা সালমাকে নাবালিকা বলে বাবার বাড়িতে রেখে আসতে বলেন।
রাতে সাইফুল সালমাকে নিয়ে তার বাবার বাড়ি সিরাজগঞ্জের বালিঘুগরীতে আসেন। সব শুনে পরিবারের লোকজন রাতেই তাদের বিয়ে বিচ্ছেদের বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে থাকেন। এ অবস্থায় অপমানে-ক্ষোভে সালমা অন্য একটি ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
খবর পেয়ে গভীর রাতেই তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৮
এইচএ/