লুৎফর রহমান কিশোরগঞ্জ তাড়াইল উপজেলার আব্দুল জব্বারের ছেলে। বর্তমানে তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে নরসিংদী সদর উপজেলায় থেকে সেখানে মুরগির ব্যবসা করতেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এরআগে বুধবার (২৪ অক্টোবর) দিনগত রাতে বিশ্বরোড সংলগ্ন রেললাইনে ট্রেনের কাটা পড়ে লুৎফর রহমানের মৃত্যু হয়।
নিহতের ভায়রা ভাই মো. ফজলে রাব্বি বাংলানিউজকে জানান, লুৎফর রহমামের স্ত্রী বেশ কয়েকদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। তিনি বর্তমানে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বুধবার রাত ১০টার দিকে হাসপাতালে স্ত্রীর খোঁজ-খবর নিয়ে বিশ্বরোডে তার (ফজলে রাব্বি) বাসায় ফিরছিলেন লুৎফর রহমাম। বাসায় ফিরতে দেরি হওয়ার ফোনে যোগোযোগের চেষ্টা করলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। পরে ভোরে রেলওয়ে থানা পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে তার মরদেহ শনাক্ত করেন।
ঢাকা রেলওয়ে থানা (কমলাপুর) বিমানবন্দর রেলস্টেশনের পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. রবিউল্লাহ জানান, বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৩ টার দিকে ঢাকাগামী একটি ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। পরে তার পকেট থাকা নোটবুক থেকে নম্বর নিয়ে স্বজনদের খবর দেওয়া হয়। তার এসে মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৮
ওএইচ/