বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নগরের উপশহর সোনারপাড়া সরকারি তিব্বিয়া কলেজের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত জাহিদ হোসেন সিলেট সিটি করপোরেশনের ২২নং ওয়ার্ডের তেররতন ২৬ নং বাসার আবুল কালামের ছেলে ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সালেহ আহমদ সেলিম গ্রুপের উপ গ্রুপ যুবলীগ নেতা মিন্নত গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মী।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সিনিয়রিটি-জুনিয়রিটি দ্বন্দ্বের জের ধরে ছাত্রলীগ নেতা জাকারিয়া মাহমুদ গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মী সুমন, চঞ্চল, নিয়াজ, তুহিন, জুবায়ের, জিকে রাহাতের সঙ্গে জাহিদের বিরোধ চলে আসছিল। সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে সোনারপাড়া তিব্বিয়া কলেজের সামনে আড্ডা দিচ্ছিলো জাহিদ। এমন সময় প্রতিপক্ষ গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মীরা হামলা চালায়। এতে জাহিদ ও তার সঙ্গীয়রা আহত হন। তাদের উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সিলেট মহানগরীর শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, পূর্ব বিরোধের জের ধরে জাহিদকে ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের ২২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট সালেহ আহমদ সেলিম বাংলানিউজকে বলেন, আমার কোনো গ্রুপে নেই। সমর্থক থাকতেই পারে। এটা জুনিয়র পর্যায়ে ছেলেদের মধ্যে পূর্ব বিরোধের জের ধরে খুনের ঘটনা ঘটতে পারে।
এদিকে, খুনের ঘটনার পর জাহিদের এলাকা তেররতনের লোকজন ও ছাত্রলীগ কর্মীরা মিলে উপশহর পয়েন্টে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। তাদের হামলায় জাবেদ নামে স্থানীয় একটি দৈনিকের এক ফটো সাংবাদিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেলে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে রয়েছে।
কাউন্সিলর সালেহ আহমদ সেলিম আরো বলেন, তেররতন এলাকার লোকজন গিয়ে সড়ক অবরোধ ও ভাঙচুর করেছেন শুনেছেন তিনি। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশও রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪০ ঘন্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৮
এনইউ/এমএমএস