তিনি বলেন, এই দশ বছরের একটা দুইটা না অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে যেখানে দেখা গেছে যে, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান সম্প্রদায়ের জমি দখল করছে কারা। আওয়ামী লীগের সদস্যরা।
ফখরুল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে, তারা ছাড়া আর কেউ নাই। বাংলাদেশে আর কেউ মুক্তিযুদ্ধ করে নাই। আর যারা তাদের বিরুদ্ধে কথা বলবে তারা হবে স্বাধীনতার শত্রু, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধের যে মূল চেতনা গণতন্ত্র সেটাকেই গিলে বসে আছে তারা। আবার বলে যে, ওরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের।
তিনি বলেন, আমরা ভয়াবহ একটা অবস্থা অতিক্রান্ত করছি। আমাদের জাতিসত্ত্বা আজকে বিপন্ন। আমরা জনগণের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আজকে সমস্যাটা বিএনপির নয়, হিন্দুর নয়, মুসলমানের নয়। আজকের সমস্যাটা হচ্ছে বাংলাদেশের জাতির। আমরা একটা স্বাধীন সার্বভৌম জাতি হিসেবে টিকে থাকতে পারবো কি না। কেউ ভোট দিতে যেতে পারে না। ওদের লোকেরা সরকারি কর্মচারিরা, ওই পুলিশ ভোট দিয়ে যায়। ভালো মানুষ ভোট দিতে পারে না। এভাবে সরকার নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করে ফেলেছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, আজকে আমরা যে সংগ্রাম শুরু করেছি সেই সংগ্রাম কিন্তু কোনো দলের জন্য নয়, এই সংগ্রাম কোনো ব্যক্তির নয়। এই সংগ্রাম হচ্ছে গণতন্ত্রকে মুক্ত করবার সংগ্রাম, বাংলাদেশের মানুষকে মুক্ত করবার সংগ্রাম। তাই আমাদের সকলকে এক হতে হবে। জনগণের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। এই যে দানবকে সরানোর জন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে আঘাত করতে হবে। আগামী নির্বাচনে প্রমাণ করে দিতে হবে এই দেশের মানুষ গণতন্ত্র চায়, আমরা ৭টা দাবি দিয়েছি। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে, সংসদ বাতিল করতে হবে, নির্বাচন কমিশন পূনর্গঠন করতে হবে। এই দাবিগুলো তফসিল ঘোষণার আগে পুরণ করতে হবে। দাবি পুরণ না হলে জনগণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সেই দাবি আদায় করে নিয়ে দেশে একটা সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে এটাই হচ্ছে আমাদের প্রত্যয়্।
অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মাহবুবুর রহমান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান কল্যাণফ্রন্টের আহবায়ক গৌতম চক্রবর্তী, কেন্দ্রীয় নেতা জয়ন্ত কুন্ড, অপলেন্দু দাশ অপু, রমেশ দত্ত, দেবাশীষ রায় মধু, তপন দে, মিল্টন বৈদ্য প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী শান্তিকারানন্দ মহারাজ, স্বামী কল্পেশানন্দ মহারাজ, বাংলাদেশ মাইনরিটি পার্টির সাধারণ সম্পাদক সুকৃতি মন্ডল, বগুড়ার শেরপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র স্বাধীন কুন্ড, হিন্দু মহাজোটের সদস্য সমীরসরকারও বক্তব্য রাখেন। পরে আগত হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের মিষ্টান্ন দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৮
এমএইচ/এমএমএস