শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহেল মারা যান।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতলের পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ট্রাক চালক আকাশ ও হেলপার মাসুদসহ আটজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে, খবর পেয়ে দুপুর ১টার দিকে কেরানীগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেরানীগঞ্জ সার্কেল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ শ্রমিকদের উদ্দেশে বলেন, আমি সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগ পর্যন্ত টোল আদায় বন্ধ থাকবে। আপনারা আন্দোলন তুলে নিন পুলিশ আপনাদের সহযোগিতা করবে।
উপজেলা চেয়ারম্যানের এমন বক্তব্যে আন্দোলনকারীরা তাদের আন্দোলন তুলে নিলে দুপুর দেড়টার দিকে সড়কের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান বাংলানিউজকে জানান, উপজেলা চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে চারঘণ্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।
এর আগে, সকাল সোয়া ১০টার দিকে বুড়িগঙ্গা প্রথম সেতু টোল মুক্তির দাবিতে কেরানীগঞ্জের ট্রাক মালিক শ্রমিকরা হাসনাবাদ এলাকায় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করে। এতে পুলিশ বাধা দিলে শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ৩০ পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সময় নিহত সোহেলসহ ট্রাক চালক আকাশ, হেলপার মাসুদ, আলামিন, মানিক, তাসলিমা, লাইজুল ইসলাম, সিদ্দিক, সাজু, বাকুম এবং প্রতিবন্ধী এক ভিক্ষুক গুলিবিদ্ধ হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৮ আপডেট: ১৫০৬ ঘণ্টা
এজেডএস/আরআইএস/এনটি